এলাহাবাদ: লখনউয়ের একটি আদালতে গ্যাংস্টার সঞ্জীব জিভাকে (Sanjeev Maheshwari Jeeva) গুলি করে খুন করা হল। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, শ্যুটাররা কোর্টে উকিলের মতো পোশাক পরে এসেছিল। সেখানে প্রকাশ্যেই গ্যাংস্টারকে গুলি করে। গুলি করে হত্যা করার পর আততায়ীরা পালাতে সক্ষম হয়। বুধবার ওই ঘটনায় প্রশাসনিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কোর্ট চত্বরের মধ্যে গুলি করা হয়। তাতে এক নাবালিকা ও এক পুলিশ কর্মী আহত হয়েছে। সঞ্জীব জিভা মুখতার আনসারির ঘনিষ্ঠ। বিজেপি নেতা ব্রহ্মদত্ত দ্বিবেদীকে (BJP MLA Brahmhadatt Dwivedi) খুনে অভিযুক্ত ছিল সে। একটি শুনানির জন্য তাকে এদিন আনা হয়েছিল।
এদিন ঘটনার পর ওই কোর্ট চত্বরের একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, হুলস্থুল পড়েছে। পুলিশ জায়গাটি ঘিরে রেখেছে। তবে আততায়ীরা গুলি করে খুন করে পালিয়ে যাওয়ায় পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন উঠছে।
আরও পড়ুন: Anubrata Mondal | প্রচুর সুগার, হাত, পায়ে ব্যালেন্স পাচ্ছি না আদালতে বললেন অনুব্রত
এই ঘটনা গ্যাংস্টার আতিক আহমেদকে খুনের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। সেখানে হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে আনার সময় পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীনই গুলি করে হত্যা করা হয় তাকে। আততায়ীরা সেক্ষেত্রে সাংবাদিক সেজে অপেক্ষা করছিল। গ্যাংস্টার (Gangster) থেকে রাজনীতিতে আসা কুখ্যাত আতিক আহমেদ (Atiq Ahmed) খুনের পর গোটা উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) সতর্কতা জারি করেছিল পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (CM Yogi Adityanath) প্রতি ২ ঘণ্টা অন্তর রিপোর্ট তলব করে পুলিশের কাছে। প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি সঞ্জয় প্রসাদকে ডেকে পাঠিয়ে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির খোঁজ নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজ্যের বেশ কয়েকটি শহরে ১৪৪ ধারা (Section 144) জারি করা হয়। বিভিন্ন জায়গায় টহল দেয় সশস্ত্র পুলিশ। কিন্তু দেখা যাচ্ছে তাতেও পরিস্থিতির বদল হয়নি। এই ঘটনায় ফের মুখ পুড়ল পুলিশের।