গান্ধীনগর: দুর্নীতির অভিযোগে জেলবন্দি এক আইএএস অফিসারের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ছবি পোস্ট করে গুজরাত পুলিসের হাতে আটক চিত্র পরিচালক অবনীশ দাস৷ মঙ্গলবার মুম্বইয়ের বাসভবনের কাছে বাড়ির সদস্যদের সামনেই অবনীশকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় গুজরাত পুলিসের একটি টিম৷ তাঁকে নিয়ে যাওয়া হবে আমেদাবাদে৷ কিছুদিন আগে একই কায়দায় মুম্বইয়ের বাসিন্দা সমাজকর্মী তিস্তা শেতলওয়াড়কে প্রথমে আটক ও পরে গ্রেফতার করে আমেদাবাদ নিয়ে যায় গুজরাত দাঙ্গায় গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দল৷ একটি টিভি চ্যানেলে তিস্তার বিরুদ্ধে গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগ এনেছিলেন খোদ অমিত শাহ৷ তারপরই সক্রিয় হয়ে উঠতে দেখা যায় গুজরাত সিটকে৷ অন্যদিকে, জালিয়াতি এবং জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগে চিত্রপরিচালক অবনীশকে আটক করেছে গুজরাত পুলিস৷
অবনীশের গ্রেফতারির প্রসঙ্গে মুখ না খুললেও সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের কাছে গুজরাত পুলিসের অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিস কমিশনার ডি পি চৌদাসামা বলেন, ‘তাঁকে মুম্বই থেকে আটক করা হয়েছে৷ এবার নিয়ে যাওয়া হবে আমেদাবাদে৷ সেখানে আদালতে তোলা হবে৷’ ‘আনারকলি অফ অররা’, ‘রাত বাকি হ্যায়’-র পরিচালক সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ায় দুটি ছবি পোস্ট করেন৷ যার একটিতে ঝাড়খণ্ডের আইএএস অফিসার পূজা সিঙ্ঘলের সঙ্গে দেখা গিয়েছে অমিত শাহকে৷ আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি মামলায় গত মে মাসে পূজার বিরুদ্ধে তদন্তে নামে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট৷ এখন তিনি জেলে রয়েছেন৷ সেটি ছাড়াও জাতীয় পতাকা জড়ানো এক মহিলার আঁকা ছবি অবনীশ ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেন৷ পরিচালকের ঘনিষ্ঠ বন্ধু রামকুমার সিং জানিয়েছেন, অমিত শাহের ছবিটি জাল নয়৷ অবনীশ শুধু সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন৷ কিন্তু ছবিটি গুজরাত সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলেছে৷ তাদের মনে হয়েছে, এতে অমিত শাহের সম্মানহানি হয়েছে৷ সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করতে ছবিটি শেয়ার করা হয়েছে৷ অবনীশের বিরুদ্ধে যে তিনটি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে তার একটি জামিনযোগ্য৷ পরিচালকের আইনজীবী সুহেল তিরমিজি জানিয়েছেন, আমরা জামিনের আবেদন জানিয়ে নিম্ন আদালতে যাব৷