বারাণসী: একদিন আগেই শেষ হয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদের অন্দরে সমীক্ষা ও ভিডিয়োগ্রাফির কাজ৷ সেই সমীক্ষায় মসজিদের অন্দরে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে একটি শিবলিঙ্গ৷ এমনটাই দাবি মামলাকারী হিন্দুত্ববাদীদের৷ যার প্রেক্ষিতে বারাণসী আদালতের বিচারক রবিকুমার দিবাকর ওই জায়গাটি ঘিরে রাখার নির্দেশ দেন৷ তিনি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যসচিব এবং রাজ্য পুলিসের ডিজিকে ওই এলাকার নজরদারি ও নিরাপত্তা তদারকির দায়িত্ব দেন৷ সেখানে কারও প্রবেশের উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেন৷ আদালতের নির্দেশের পরই পুলিস ও আধা সামরিক বাহিনীতে ছেয়ে যায় মসজিদ চত্বর৷
এ দিন হিন্দুত্ববাদীদের পক্ষের এক আইনজীবী সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেন, মসজিদের অন্দরে একটি জলাশয়ে ১২ ফুট লম্বা ৮ ইঞ্চির শিবলিঙ্গ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে৷ শিবলিঙ্গটির সংরক্ষণের জন্য তারা আদালতের দ্বারস্থ হয়৷ জানা গিয়েছে, ওই জলাশয়ের জল ব্যবহার করে ইসলামীয় রীতি মেনে শুদ্ধকরণের কাজ করেন মুসলিমরা৷ সেই জলাশয়ের জল বের করে দেওয়ার সময় শিবলিঙ্গটি খুঁজে পাওয়া যায়৷ এরপরই আদালতে ছোটেন এক আবেদনকারী৷ তিনি জায়গাটি ঘিরে ফেলার দাবি জানান৷ আদালত তাতে সম্মতি জানায়৷ বারাণসীর জেলাশাসককে জলাশয়টি ঘিরে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়৷ জানানো হয়, আপাতত ওই জলাশয়ের জল যাতে ব্যবহৃত না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে৷
গত বৃহস্পতিবার বারাণসীর কাশী বিশ্বনাথ মন্দির লাগোয়া জ্ঞানবাপী মসজিদের অন্দরে প্রত্নতাত্ত্বিক সমীক্ষার নির্দেশ দেয় বারাণসীর জেলা আদালত৷ সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয় সুপ্রিম কোর্টে৷ কিন্তু সর্বোচ্চ আদালত প্রত্নতাত্ত্বিক সমীক্ষার উপর স্থগিতাদেশের আবেদন খারিজ করে দেয়৷ সেই মতো শনিবার থেকে আদালতের নির্দেশে শুরু হয় মসজিদের অন্দরে সমীক্ষা ও ভিডিয়োগ্রাফি৷ এই কাজ শেষ করার জন্য তিনদিন সময় দেয় আদালত৷ কিন্তু একদিন আগেই সমীক্ষার কাজ শেষ করে সমীক্ষাকারী দল৷ আদালত-নিযুক্ত তিন পর্যবেক্ষক, আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার পুরাতত্ত্ববিদ এবং মামলাকারী দুই গোষ্ঠীর সদস্য ও পুলিস-প্রশাসনের প্রতিনিধিদের নিয়ে ৩৬ জনের একটি দলের উপস্থিতিতে শেষ হয় সমীক্ষা এবং ভিডিয়ো তোলার কাজ৷
হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের একাংশ ধ্বংস করে সেই জমিতে গড়ে উঠেছে জ্ঞানবাপী মসজিদ৷ সেই জমি হিন্দুদের ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে জানিয়ে আদালতে মামলা করে স্বয়ম্ভু জ্যোতির্লিঙ্গ ভগবান বিশ্বেশ্বর নামে একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন৷ মসজিদে হিন্দুত্বের ছাপ খুঁজতে প্রত্নতাত্ত্বিক সমীক্ষার দাবি জানানো হয়৷ আদালত সেই দাবি মেনে সমীক্ষার নির্দেশ দেয়৷