বুধবার এসএসকেএমে আহত পুলিশ কর্তা দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে দেখতে যান তিনি। মঙ্গলবার বিজেপি কর্মীদের আক্রমণে গুরুতর আহত হন তিনি। আহত অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারকে দেখে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ”আমি দেবজিৎবাবুর সঙ্গে দেখা করে ওনার দ্রুত সুস্থতা কামনা করলাম। তাঁকে বলে এলাম, আপনার সংবেদনশীলতাকে স্যালুট জানাই। আপনার জায়গায় আমি থাকলে মাথায় গুলি করতাম।” ওই বিষয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের যুক্তি, “একজন পুলিশ আধিকারিককে একা পেয়ে যেভাবে ২০-২৫ জন মিলে মারল তার জবাবে পুলিশ কি গুলি চালাতে পারত না? সেটাই তো সহজ উপায় ছিল। নিমেষের মধ্যে সব ঠান্ডা করা যেত, কিন্তু তাতে সাধারণ মানুষের ক্ষতি হত।“
বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলে অভিযেক বুধবার বলেন, যেভাবে পুলিশের উপর পাথর, ইট ছোঁড়া হয়েছে, সেটা বর্বরতা। লোহার রড দিয়ে পুলিশের উপর আক্রমণ হয়েছে। কলকাতা পুলিশের সংবেদনশীলতাকে স্যালুট জানাই। যেভাবে তাঁরা মাথা ঠান্ডা রেখেছেন। এটাই সবচেয়ে বড় পরিবর্তন। পুলিশের এই সাহসিকতার জন্য এখন দেশের মধ্যে সব থেকে নিরাপদ শহর কলকাতা।
অভিষেকের দাবি, নবান্ন অভিযানের নামে আসলে বর্বরতা করেছে বিজেপি। গুন্ডামি, ভণ্ডামি হয়েছে। এটা বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার ঘটনার পুনরাবৃত্তি। ডায়মন্ডহারবারের সাংসদের অভিযোগ, ‘কাল যে ইস্যু নিয়ে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল সে ব্যাপারে একটা পোস্টার, একটা লেখা, বা একটা স্লোগানও বিজেপির মুখ থেকে শোনা যায়নি। কী করে শান্ত বাংলাকে অশান্ত করা যায়, কী করে রাজ্যের শান্তি-শৃঙ্খলা, সম্প্রীতিকে নষ্ট করা যায় সেই চেষ্টা করেছে বিজেপি।