কলকাতা: চাঁদিফাটা রোদ্দুর (Heat Wave) বাড়ি থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। রাস্তায় সারা শরীর ঢেকে চললেও মনে হচ্ছে চোখে এসে আগুনের আঁচ লাগছে। শরীর শুকিয়ে যাচ্ছে। গরম (Hot Weather) হয়ে যাচ্ছে পোশাক। তার উপরে আর্দ্রতা বেশি থাকায় ঘেমে নেয়ে একসা। প্রচণ্ড ঘেমে অস্বস্তি শরীর জুড়ে। এরকমই পরিস্থিতি এবছর। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে। রোদে বাইরে বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে। ডিহাইড্রেশনের (Dehydration) সমস্যা থেকে সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে। শুধু এই রাজ্য নয় সারা ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এই পরিস্থিতি। অসহ্য গরম। ক্রমশ তা বাড়ছে। সারা ভারতেই (India) তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। যার জেরে বৃদ্ধি পাচ্ছে হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা। বাড়ছে ব্ল্যাক আউটের সম্ভাবনাও। ওড়িশার (Odisha) বারপদায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিভিন্ন জায়গায় স্বাভাবিকের থেকেও ৫ ডিগ্রি বেড়েছে তাপমাত্রা। ভারতের আবহাওয়া দফতর পাঁচ রাজ্যে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে। সেগুলি হল হরিয়ানা (Hariana), উত্তরপ্রদেশ (Uttarpradesh),পশ্চিমবঙ্গ (Westbangal), বিহার (Bihar), ওড়িশা (Odisha)। অন্যান্য গ্রীষ্মের চেয়ে এবার গ্রীষ্ম আরও ঊষ্ণ। ঘরে ঘরে এয়ার কন্ডিশনার (Air Conditioner) ব্যবহার করা হচ্ছে। যার ফলে বিদ্যুতেরও (Electricity) সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
গরমের সঙ্গে যোগ হচ্ছে আর্দ্রতা যা আরও মারাত্মক করে তুলছে পরিস্থিতি। ১৪০ কোটি ভারতীয়ের বেশিরভাগই বাইরে কাজ করেন। অর্থাৎ ঘরের বাইরে তাঁদের কাজ করতে হয়। ঘর থেকে তাঁদের বেরোতে হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাদের সুরক্ষা থাকে না। প্রতিবছর ঠিকাকর্মী, হকার, রিকশাচালকের গরমে মৃত্যু হয়। তাঁদের গরম এড়ানোর কোনও উপায় থাকে না। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি গরমে শ্রমের ক্ষতি হয় ভারতে। মহারাষ্ট্রে একটি সরকারি পোষিত অনুষ্ঠানে হিট স্ট্রোকে সম্প্রতি ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। কারণ ওই প্রোগ্রামে তারা খোলা আকাশের নীচে গরমে বসেছিলেন। সান স্ট্রোকে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: Murshidabad Incident| মুর্শিদাবাদে দুই পড়ুয়ার রহস্য মৃত্যু! ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য এলাকায়
ডাক্তাররা পরামর্শ দিচ্ছেন গরমে হাইড্রেটেড থাকতে হবে। হাল্কা পোশাক পরতে হবে। সুতির পোশাক পরতে হবে। মুখ ঢাকতে হবে। নিয়মিত জল খেতে হবে। কড়া রোদে যাওয়া যাবে না। পশ্চিমবঙ্গে এই সপ্তাহে স্কুল ছুটি ঘোষণা করেছে। গরমের জন্য এই সপ্তাহে সব স্কুল বন্ধ থাকবে। বেশিরভাগ রাজ্যে স্কুলের সময়সীমা কমানো হচ্ছে। কিন্তু, এর থেকে মুক্তি কীভাবে মিলতে পারে? উপায় একটিই। তা হল বৃষ্টি। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত বৃষ্টির দেখা নেই। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনাও নেই।