কাতার বিশ্বকাপ (Qatar World Cup 2022) নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। স্টেডিয়াম-পরিকাঠামো তৈরিতে বহু শ্রমিকের মৃত্যু থেকে মানবাধিকার ভঙ্গ , সমলিঙ্গের বিরোধিতা নিয়ে অবস্থান। এবারের বিশ্বকাপের আয়োজক কাতারকে নিয়ে বিতর্কের ঢেউ চলছে। অনেকে মানবাধিকার সংগঠন যে কারণে কাতার বিশ্বকাপ বয়কটের ডাক দিয়েছেন।
২০১০ সালের নভেম্বরে একই সঙ্গে ফিফার সভায় ২০১৮ ও ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ ঠিক হয়েছিল। ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছিল রাশিয়া। আর ২০২২-এর কাতার। ফিফার শীর্ষ কর্তাদের মোটা টাকা ঘুষ দিয়ে কাতার বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছিল, সেটা মোটের ওপর প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। কাতারকে বিশ্বকাপ আয়োজন করার দায়িত্ব দেওয়া যে ভুল হয়েছে তা স্বীকারও করে নিয়েছেন তৎকালীন ফিফা সভাপতি শেপ ব্লাটারও। একবার দেখে নেওয়া যাক, ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজনের বিড প্রক্রিয়ায় কারা কারা ছিল, আর কীভাবেই বা কাতার এই দায়িত্ব পেল–
আরও পড়ুন-FIFA World Cup 2022: স্ত্রী-বান্ধবীদের সঙ্গে দেখা করায় না, বিশ্বকাপে কড়া নির্দেশের মুখে ইংল্যান্ড
২০২২ বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য দরপত্র জমা দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া, জাপান, কাতার, দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র। সরকারী সমর্থন না থাকায় ইন্দোনেশিয়ার দরপত্র শুরুতেই বাতিল হয়। আর আর্থিক কারণে মেক্সিকো পিছিয়ে আসে। ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়ার ভোটিংয়ে প্রথম তিনটি রাউন্ডে ছিটকে যায় অস্ট্রেলিয়া (১টি ভোট), জাপান (৩টি), দক্ষিণ কোরিয়া (৫টি)। চতুর্থ তথা চূড়ান্ত রাউন্ডে মুখোমুখি লড়াই দাঁড়ায় কাতার ও আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে। ফিফার ২২জন কর্তা ভোট দেন। তার মধ্যে চূড়ান্ত রাউন্ডে কাতার পায় ১৪টি, ও আমেরিকা ৮টি ভোট। আয়োজক হওয়ার খুশিতে গোটা কাতার জুড়ে উৎসব শুরু হয়ে যায়।
কিন্তু পরে মোটের ওপর প্রমাণ হয়ে যায় ওই ১৪টি-র মধ্যে ১১টি ভোটই কাতার মোটা অর্থের বিনিময়ে কেনে। এই কাণ্ডে বিশ্বকাপের আয়োজক বাছাইয়ের দায়িত্বে থাকা ২২জনের মধ্যে ১১জনকে নির্বাসিত করা হয়। তাই অনেকেরই মতে, ঠিকমত ভোট হলে ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপ হত মার্কিন মুলুকে। তবে মার্কিনীদের সেই আক্ষেপ মেটে ২০২৬ বিশ্বকাপের আয়োজকের দায়িত্ব পেয়ে। ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপ হবে আমেরিকা, কানাড ও মেক্সিকোয়। ১৯৯৪ সালে প্রথমবার আমেরিকায় হয়েছিল পুরুষদের ফুটবল বিশ্বকাপ।