Idole Recover | পুকুর খুঁড়তেই উঠে এল প্রাচীন যুগের মূর্তি

শালবনি: পুকুর খুঁড়তেই উঠে এল প্রাচীন যুগের মূর্তি (Idole)। তাই দেখে উন্মাদনা গ্রামবাসীদের (Villagers) মধ্যে। শুরু হল পুজো। জড়ো হলেন গ্রামবাসীরা। ঠাকুরের আশীর্বাদ নিতে প্রণাম করার হিড়িক। শঙ্খ, কাঁসর, যে যা পারে নিয়ে হাজির। আশেপাশের গ্রাম থেকে মানুষ-জন আসতে শুরু করেন। জড়ো হন মহিলারাও। একবার ছুঁয়ে দেখার আকুতি। তাঁদের মতে ঠাকুরের ইচ্ছায় তাঁরা এই মূর্তি পেয়েছেন। খবর যায় প্রশাসনের কাছে। তাঁরা এসে ওই মূর্তি নিয়ে যেতে চান। কিন্তু, নাছোড়বান্দা গ্রামবাসীরা। শেষে গ্রামবাসীদের উন্মাদনার কাছে পিছু হটতে হল প্রশাসনকে। পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) শালবনি (Salboni) ব্লকের ১০ নম্বর কর্ণগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের (Karnagarh Gram Panchayat) কুতুরিয়া গ্রামের (Kuturia Gram) ঘটনা। 
ওই গ্রাম লাগোয়া এক পুকুর খোঁড়া হচ্ছিল। সেই খোঁড়ার কাজ চলার সময় জেসিবি মেশিনে উঠে আসে এক প্রাচীন যুগের মূর্তি। এই মূর্তিকে কেন্দ্র করে গ্রামের সবার মধ্যে উন্মাদনার সৃষ্টি হয়। চাঞ্চল্য ছড়ায়। খবর পেয়ে সেখানে আসে শালবনি থানার পুলিশ। পুলিশ ওই মূর্তিটি উদ্ধার করতে গেলে গ্রামবাসীরা তা দিতে রাজি নয় বলে জানিয়ে দেয়। গ্রামবাসীদের কাছে পুলিশকে বাধার সম্মুখীন হতে হয়। গ্রামবাসীদের দাবি, গ্রামেরই প্রাচীন পুকুর থেকে উদ্ধার হওয়া এই মূর্তি তাঁরা গ্রামেরই মন্দিরে রেখে পূজার্চনা করবেন। জানাজানি হওয়ার পর শাঁখ, কাঁসর বাজিয়ে তাঁরা এই মূর্তিকে জলধারা দিয়ে গ্রামের ওই মন্দিরে নিয়ে যায়।  গ্রামবাসীদের মধ্যে এক খুশির উন্মাদনা দেখা দেয়। গ্রামবাসীদের কাছে কার্যত প্রশাসনের ব্যক্তিদেরকে পিছু হটতে হয়। 

আরও পড়ুন: Char Dham Yatra 2023 | অপেক্ষার প্রহর গোনা শেষ, শুরু হল চার ধাম যাত্রা 

কুতুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা সুরেশ মহাদন্ড বলেন, আমরা গ্রামের মন্দিরে রেখে পুজো করব। ঠাকুরের ইচ্ছায় ওই মূর্তি আমরা পেয়েছি। আরেক বাসিন্দা বলেন, পুলিশ এসেছিল। পুলিশকে আমরা অনুরোধ করেছি মূর্তির আমরা নিয়মিত পুজো করব। আমাদের অনুরোধ রেখেছে পুলিশ। পুলিশকে ধন্যবাদ। ইতিমধ্যে পুজো শুরু হয়ে গিয়েছে ওই মূর্তিকে ঘিরে। খুশি গ্রামবাসীরা। পাশের গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, আমরা খবর পেলাম মাটি কাটার সময় একটি মূর্তি পাওয়া গিয়েছে। তাই শুনে আমরা এসেছিলাম দেখতে। এরকম তো খুব কম হয়। তারপর দেখলাম পুলিশ এসেছে। পুলিশ মূর্তিটি নিয়ে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু, এখানকার মানুষ তা দিতে রাজি হয়নি। তাঁরা বলেন, ওই মূর্তি পুজো করবেন। তা এখানেই রাখা থাক। সেই মোতাবেক মূর্তিটি মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হল।