কলকাতা: প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় ইউজিসিকে (UGC) রিপোর্ট দিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University)। রবিবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছিল ইউজিসি (UGC)। ২৪ ঘণ্টার সময়ে দেওয়া হয়েছিল। ইউজিসির ডেট লাইন মেনেই পাঠানো হল রিপোর্ট। জানা যাচ্ছে, প্রথম বর্ষের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে যারা হস্টেলে থাকে তাদের নাম পাঠানো হয়েছে রিপোর্টে। তার সঙ্গে যাঁরা তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন, পাঠানো হয়েছে তাঁদের নাম।
এদিকে প্রাক্তন পড়ুয়াদের তিনদিনের মধ্যে হস্টেল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বুধ ও বৃহস্পতিবারের মধ্যে হস্টেল ফাঁকা হয়েছে কি না তা পরিদর্শন করে দেখা হবে। বয়েজ হস্টেলেই প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। জেপিজি হস্টেলে বেশ কয়েকজন কর্মী থাকেন। তাঁদের সরিয়েও প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের রাখার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে শোকজ করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন
পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় যে দুজন পড়ুয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের বিষয়ে কর্তৃপক্ষ কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সে বিষয়ে যাদবপুরের অভ্যন্তরীণ তদন্তকারী কমিটি রিপোর্ট দেওয়ার পরেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে ইউজিসিকে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। রিপোর্টে জানানো হয়েছে, সিসিটিভি লাগানোর বিষয়ে কার্যকরী কমিটির প্রস্তাবকেই মান্যতা দেবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
যাদবপুরে গত ৯ অগাস্ট প্রথম বর্ষের ছাত্রের হস্টেলের (Hostel) তিন তলার বারান্দা থেকে পড়ে রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় রাগিংয়ের তত্ত্ব সামনে এসেছে। সেই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে কোথায় অ্যান্টি রাগিং কমিটি (Anti Ragging Committee)? তারা কেন নজরদারি চালায়নি। একই হস্টেলে প্রাক্তন ছাত্রের সঙ্গে প্রথম বর্ষের ছাত্ররা রয়েছে কেন? প্রাক্তনীরা কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে যায়? ইতিমধ্যে এই ঘটনায় সক্রিয়তা দেখিয়েছে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন, শিশু অধিকার সুরক্ষা আয়োগ। তার মধ্যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় মাথা হীন। কারণ সেখানে উপাচার্য নেই। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে ওই ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রাক্তনী ও দুই পড়ুয়া গ্রেফতার হয়েছে। উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করছে পুলিশ। তদন্ত করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি।