কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) চিঠি কাণ্ডে কাটল জট। যে চিঠি নিয়ে গত দুদিন ধরে বিতর্ক চলছিল, সেটি লিখেছিলেন জেলবন্দি দীপশেখর দত্তই। পুলিশের জেরায় নিজেই সে কথা স্বীকার করেছেন দীপশেখর। হস্তরেখা বিশারদের দিয়েও হস্তাক্ষর পরীক্ষা করিয়েছে পুলিশ।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রের মৃত্যুর তদন্তে উঠেছে এসেছে একটি চিঠির কথা। ৯ তারিখ রাতে যাদবপুরের মেন হস্টেলের তিনতলা থেকে পড়ে যায় বিএ প্রথম বর্ষের বাংলা বিভাগের ছাত্র। পরদিন ভোরে শহরের বেসরকারি হাসপাতালে মারা যায় সে। তারই ডায়েরির পাতায় লেখা এক পাতার একটি চিঠির হদিশ পান তদন্তকারীরা। ঘটনায় এক প্রাক্তনী ও দুই ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত দীপশেখর অর্থনীতির ছাত্র। সূত্রের খবর, সেই চিঠি দীপশেখরের লেখা বলেই তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। এমনকী দীপশেখর পুলিশের কাছে তা স্বীকারও করেছে।
আরও পড়ুন: ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় ইউজিসিকে রিপোর্ট দিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়
ধৃত দীপশেখরের মা জানান, ওই ঘটনার পর ছেলে তাঁকে জানিয়েছিল, ওই ছাত্রকে সিনিয়ররা সমকামী বলেছিল। তারপর থেকে ছেলেটা অস্বাভাবিক আচরণ করছিল। তখন আমার ছেলে ওকে দিয়ে অভিযোগপত্র লিখেই সই করিয়ে নিয়েছিল। দীপশেখরের মা আরও দাবি করেন, তাঁর ছেলেও এই হস্টেলে ব়্যাগিংয়ের শিকার হয়েছিল। নগ্ন করে সারা রাত ক্যাম্পাসে ঘোরাত, জল বয়েও নিয়ে আসতে হত। দীপই ওই চিঠিতে লেখা ছাত্রের বয়ান পুলিশকে দিয়েছে। আর আমার ছেলেকেই শেষে গ্রেফতার করল। ছেলেকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হল বলেও দাবি তাঁর।
ধৃত দীপশেখর, সৌরভ ও মনোতোষের মোবাইল ফোনও এই ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, একটি ভিডিয়ো ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে। পুলিশের দাবি, ইন্ট্রো পর্ব চলার সময় প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রের হেনস্তার ভিডিও রেকর্ডিং করা হয়েছিল ৯ অগাস্ট রাতে। হেনস্তার ভিডিও হাতে পেতে ফরেন্সিক ও প্রযুক্তির সাহায্য নিতে চলেছে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)।