কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ ছয়জনের ফের জেল হেফাজত। ২২ মে পর্যন্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়, নীলাদ্রি দাস, কল্যাণময় গাঙ্গুলি, অশোক সাহা, এস পি সিনহা, সুবীরেশ ভট্টাচাৰ্য এবং চন্দন মণ্ডলকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। সোমবার আদালতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি পাঁচবারের বিধায়ক। আমাকে যদি জামিন দেওয়া হয় তাহলে সিবিআইয়ের আপত্তি কোথায় ? আমি তো তদন্তে অসহযোগিতা করছি না । আমি কি গালে হাত দিয়ে বসে থাকব? আর ওঁরা তদন্ত করে যাবেন? আমি ৭৩ বছর বয়সে কি জেলে বসে থাকব?’
এদিন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের আইনজীবী বিপ্লব গোস্বামী সওয়াল জবাবের সময় বিচারককে বলেন, ‘প্রতিদিনই একই ধরনের ঘটনা চলছে। আমরা কী বলব, সিবিআই কী বলবে সবই আপনি জানেন। যারা তদন্তের আওতাভুক্ত হয়নি, তারা এখনও এসএসসি-তে কাজ করছে, বেতনও পাচ্ছে। তারা যদি বাইরেই থাকে, তাহলে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় জামিন পেলে কী এমন হয়ে যাবে? সিবিআই দু’জনকে জেরা করেছিল- সৌমিত্র সরকার ও পর্ণ বোস । এঁদের নাম চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে। তাঁদের কেন এখনও গ্রেফতার করা হচ্ছে না?’ পাশাপাশি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর অপর আইনজীবী সেলিম রহমান আদালতে সওয়াল জবাবের সময় অভিযোগ করেন, তাঁর মক্কেলকে জেরা করা হচ্ছে না, তাই অবিলম্বে জামিন দেওয়া হোক।
আরও পড়ুন: Samaresh Majumder | সাহিত্য জগতে নক্ষত্রপতন, প্রয়াত সমরেশ মজুমদার
পাল্টা সওয়ালে জামিনের বিরোধিতা করেন সিবিআইয়ের আইনজীবীও। মুখবন্ধ খামে গোপন জবানবন্দির নথি বিচারকের হাতে তুলে দেয় সিবিআই। কেন্দ্রীয় এজেন্সির তরফে বলা হয়, এটা দুর্নীতির মামলা । রাজনৈতিক প্রভাবে কেউ যদি কোনও সরকারি পদ পেয়ে দুর্নীতি করেন তাহলে কি তদন্ত হবে না? যেদিন থেকে মামলা রুজু হয়েছে তখন থেকে তদন্তকারী অফিসার অনেক পরিশ্রম করছেন। যেটা কেস ডায়েরিতে প্রতিফলিত হচ্ছে । এরা কি স্বাধীনতা সংগ্রামী যে তদন্ত হবে না?’এদিকে, চন্দন মণ্ডল, নীলাদ্রি দাস, শান্তিপ্রসাদ সিনহা, কল্যাণময় গাঙ্গুলি, অশোক সাহার আইনজীবীরাও যে কোনও শর্তে জামিনের আর্জি জানান। কিন্তু আদালত উভয়পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে ছ’জনকেই ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। যার জেরে আপাতত জেলেই কাটাতে হবে পার্থ-সহ বাকিদের।