লখনউ: পাঁচ বছরের দীর্ঘ সাজা কাটার পর ৯৮ বছরের বৃদ্ধ মুক্তি পেয়েছেন উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা জেল (Uttar Pradesh’s Ayodhya Jail) থেকে। বৃদ্ধের নাম রাম সুরত (Ram Surat)। ভারতীয় দণ্ডবিধির (Indian Penal Code – IPC) ধারা ৪৫২, ৩২৩ এবং ৩৫২ অনুযায়ী দোষী সাব্যস্ত (Convicted) করা হয়েছিল তাঁকে। হাজতবাসের পর (Jail Term) বৃদ্ধকে মুক্তি দেওয়ার সময় জেল কর্মীরা তাঁকে বেশ ভালোবেসেই বিদায় দিয়েছেন। ফেরওয়ালের (Farewell) সেই ভিডিয়োটি ইন্টারনেটে দেদার ভাইরাল (Viral) হয়েছে। শতায়ু ছুঁই ছুঁই বৃদ্ধের প্রতি জেলকর্মীদের এই ব্যবহার মন ছুঁয়েছে নেটাগরিকদের।
উত্তরপ্রদেশের কারা বিভাগের ডিজি (DG Prisons UP) টুইটারে ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, অযোধ্যা জেলের জেলা সুপার শশীকান্ত মিশ্রা পুত্রাওয়াত (District Superintendent Shashikant Mishra Putrawat) বিদায়বার্তায় রাম সুরতকে বলছেন, পুলিশ তাঁকে বাড়িতে ছেড়ে আসবে। ভিডিয়োর শেষে দেখা গিয়েছে, শশীকান্ত মিশ্রা বৃদ্ধকে গাড়ি পর্যন্ত এগিয়েও দিয়ে আসেন। নিজের গাড়িতে করে তাঁকে বাড়ি ছাড়ার বন্দোবস্ত করে দেন তিনি।
परहित सरिस धर्म नहीं भाई . 98 वर्षीय श्री रामसूरत जी की रिहाई पर लेने कोई नहीं आया . अधीक्षक जिला जेल अयोध्या श्री शशिकांत मिश्र पुत्रवत अपनी गाड़ी से घर भेजते हुए . @rashtrapatibhvn @narendramodi @myogiadityanath @dharmindia51 pic.twitter.com/qesldPhwBB
— DG PRISONS U.P (@DgPrisons) January 8, 2023
টুইটার পোস্টের ক্যাপসনে হিন্দিতে একটি বার্তাও রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, “পরহিত সরিস ধর্ম নয় ভাই। মুক্তির সময় ৯৮ বছরের শ্রী রাম সুরতজিকে কেউ নিতে আসেননি। অযোধ্যা জেলের ডিস্ট্রিক্ট সুপারইন্টেন্ডেন্ট শ্রী শশীকান্ত মিশ্রা পুত্রাওয়াত তাঁকে নিজের গাড়িতে করে বাড়ি পাঠাচ্ছেন।”
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ৮ অগাস্ট রাম সুরাতের জেলের সাজার মেয়াদ শেষ হয়েছে। কিন্তু গত বছর ২০ মে তিনি কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা যায়। ফলে, তাঁকে ৯০ দিনের প্যারোলে (parole) পাঠানো হয়েছিল। টুইটারে ভিডিয়োটি ২ হাজারের উপর ভিউ হয়েছে এবং প্রচুর কমেন্ট পড়েছে। এক টুইটার ইউজার জানতে চেয়েছেন কোন মামলায় কী অভিযোগে তাঁকে কারাবাসের সাজা দেওয়া হয়েছিল? ভিডিয়োর পরে বলতে শোনা গিয়েছে, বৃদ্ধকে কোনও মন্দিরে পাঠানো হচ্ছে। অনেকে তাই বলছেন, বৃদ্ধ রাম সুরত মন্দিরের পুরোহিত হতে পারেন। অপর এক ব্যক্তি লিখেছেন, ৯৮ বছরের বৃদ্ধি কারাগারে বন্ধ করে রাখা লজ্জার সমান। এটা কখনই ন্যায্য নয়। আরেক ব্যক্তি লিখেছেন, অসাধারণ মুহূর্ত, অনুভূতির ব্যক্ত করার ভাষা খুঁজে পাচ্ছেন না।