দরজায় কড়া নাড়ছে গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচন। এই আবহে রাজ্যে ইউনিফর্ম সিভিল কোড প্রণয়ন করার পরিকল্পনা করেছে সেখানকার সরকার। এতে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে কারণ তাতে ধর্মভিত্তিক নিয়মাবদ্ধ মুসলিমদের ক্ষেত্রে এই আইন মেনে নেওয়া সমস্যার। বিরোধীরা বলছে, হিন্দু ভোট আদায় করতে এটা শাসকদলের গিমিক।
অবসরপ্রাপ্ত হাইকোর্টের বিচারপতির নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেছে গুজরাত সরকার। কীভাবে এই আইন প্রণয়ন করা যেতে পারে তা ভেবে দেখবে এই কমিটি। অথচ মনে করা হয়, ইউনিফর্ম সিভিল কোড বিষয়টি আদতে কেন্দ্রের এক্তিয়ার, কোনও রাজ্যের নয়।
অবশ্য শাসকদল তা নিয়ে ভাবিত নয়। গুজরাতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সঙ্ঘভি রীতিমতো উৎফুল্ল হয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বে মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: Mamata on President rule: রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, কেন্দ্রকে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর
এদিকে আসন্ন নির্বাচনে শাসকদলের প্রতিদ্বন্দ্বী আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দাবি, বিজেপি ধাপ্পা দিচ্ছে। উত্তরাখণ্ডে নির্বাচনের আগেও ইউনিফর্ম সিভিল কোড-এর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল পদ্ম শিবির। নির্বাচন জেতার পর কিছুই হয়নি। কেজরি বলেন, উত্তরাখণ্ডে জেতার পর ওরা (বিজেপি) কমিটি গড়েছিল। সেটা এখন উধাও। গুজরাত নির্বাচনের তিন দিন আগে আবার সেই কমিটি গঠন করছে, পরে সেটাও অদৃশ্য হয়ে যাবে।
ভাবনগরে সাংবাদিক সম্মেলনে কেজরিওয়াল বলেন, ইউনিফর্ম সিভিল কোড চালু হওয়া উচিত কারণ সংবিধানের ৪৪ নম্বর ধারা বলে, সরকারের এটা করা দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। কিন্তু চালু করার আগে সমস্ত সম্প্রদায়ের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে এবং অনুমতি নিতে হবে। আপ প্রধান বলেন, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশে বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে। ওখানে কেন চালু করেনি? দেশজুড়ে প্রণয়ন করা উচিত এই আইন। কেন্দ্র কি লোকসভা নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে?