সদ্য ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন লিজ ট্রাস, কিন্তু এর মধ্যেই ঝড়ের মুখে পড়েছেন তিনি। এবার বাধ্য হয়ে ক্ষমা চাইলেন তিনি। তিনি ভুল করেছেন সে কথা স্বীকার করেছেন যে তাঁর অতি-সক্রিয়তার কারণে অর্থনৈতিক অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছে, তবে সেই সঙ্গে নেতৃত্ব দেওয়ার ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ রইলেন।
ট্রাস বলেন, আমি অবশ্যই দায়িত্ব নিতে চাই এবং যে ভুলগুলো হয়েছে তার জন্য ক্ষমা চেয়ে নেব। একটু বেশিই দ্রুত বেশিদূর চলে গিয়েছিলাম আমরা। তবে এর সঙ্গে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী েও বলেছেন, দেশের স্বার্থেই এই কাজ করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী হয়েই আয়কর, কর্পোরেট ট্যাক্স, বিদ্যুৎ বিলের ছাড়ের ঘোষণা করেছিলেন ট্রাস এবং তাঁর পছন্দের অর্থমন্ত্রী কোয়াসি কোয়ারটেং। কোয়ারটেং বরখাস্ত হওয়ার পর দায়িত্ব নেন জেরেমি হান্ট। ট্রাস সরকারের সমস্ত অর্থনৈতিক রদবদল স্রেফ আস্তাকুঁড়ে ছুড়ে ফেলেন তিনি। এর পরেই ট্রাসের কর্মদক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। কনজার্ভেটিভ পার্টির সাংসদ রজার গেল কটাক্ষ করে বলেন, বকলমে প্রধানমন্ত্রী জেরেমি হান্টই।
আরও পড়ুন: Ballon d’Or: ব্যালন ডোর জিতলেন রিয়াল তারকা বেঞ্জেমা, পরের লক্ষ্য বিশ্বকাপ
পার্লামেন্টে হান্ট বলেন, তিন সপ্তাহ আগে কর সংক্রান্ত যে সব ঘোষণা করা হয়েছিল, আমি এবং প্রধানমন্ত্রী তা ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছি। একথা বলার সময় পাশে দাঁড়ানো প্রধানমন্ত্রীর মুখ ছিল স্পষ্টতই গম্ভীর।
ঠিক কী কী বদল আনতে চেয়েছিলেন ট্রাস যা বাতিল করে দিয়েছেন হান্ট?
ন্যূনতম আয়কর ১৯ শতাংশে নামিয়ে এনেছিলেন ট্রাস, কিন্তু হান্ট তা ফের ২০ শতাংশেই বহাল রেখেছেন। আগামী দু’ বছরের জন্য বিদ্যুৎ বিলের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দিয়েছিলেন ট্রাস, কিন্তু হান্ট জানিয়ে দেন, এই সুবিধা থাকবে আগামী এপ্রিল পর্যন্ত। তারপর অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, বিদেশি পর্যটকরা সরাসরি ভ্যাটে ছাড় পাবেন, তাও বাতিল করে দিয়েছেন হান্ট।