নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় রেজিন(raisins) বা কিশমিশ(kismis) রাখেন অনেকেই। শরীর চাঙ্গা রাখতে যে পরিমান ক্যালোরির(calorie) প্রয়োজন তা জোগায় কিশমিশ। অনেক সময় দিনের প্রধান আহারগুলির মাঝে আবার খিদে পেলে জাঙ্ক ফুডের বদলে এই কিশমিশ খাওয়া পুষ্টির দিক থেকে খুবই উপকারী। পুষ্টিতে ভরপুর কিশমিশ পাচনতন্ত্রের কাজে সাহায্য করে। আর কিশমিশের এই গুনের কথা জেনে অনেকে মুঠো মুঠো কিশমিশ খেয়ে ফেলেন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন কিশমিশ খাওয়ার যেমন অনেক উপকারিতা আছে তেমনই মাত্রাতিরিক্ত খাওয়ার অপকারিতাও নেহাত কম নয়।
মাত্রাতিরিক্ত কিশমিশ খাওয়ার সমস্যা
কিশমিশ বেশি খেলে পেটের সমস্যা যেমন হজমের গন্ডগোল, রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়া ও কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
প্রত্যেকদিন ঠিক কতটা কিসমিস(kismis) খাওয়া যেতে পারে
যারা ওজন নিয়ে সচেতন তাদের কিশমিশ খুব বুঝে শুনে খাওয়া উচিত। বেশি খেলে সমস্যা হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক দিনে ৪০ থেকে ৫০ গ্রাম কিশমিশ খেতে পারেন।
বেশি পরিমানে কিশমিশ খেলে কী কী ক্ষতি হতে পারে দেখে নিন–
হজম সংক্রান্ত সমস্যা
কিশমিশে প্রচুর পরিমান ফাইবার থাকে। এই ফাইবার একদিকে যেমন হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে পারে তেমন আবার পরিমানে বেশি হলে খাবার থেকে পুষ্টি শুষে নেওয়ার কাজে শরীররে জন্য বাঁধা সৃষ্টি করতে পারে। একদিকে যেমন শরীর থেকে বাড়তি তরল পদার্থ শুষে নিয়ে কিশমিশে থাকা ডায়টারি ফাইবার ডায়রিয়ার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তেমনি আবার বেশি কিশমিশ খেলে মাত্রাতিরিক্ত ডায়টারি ফাইবার শরীরের সব জল শুষে নেয়। এর ফলে শরীরে পর্যাপ্ত জল না থাকলে ডিহাইড্রেশন, বদহজম সহ পেটের একাধিক সমস্যা তৈরি হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত হয় শরীরের কোষ
কিশমিশে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন পলিফেনলস(polyphenols), বায়োফ্লেভনয়েড(bio flavanoid) ও ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট(phytonutrient) থাকে। অল্প পরিমান কিশমিশ খেলে শরীর এই সব উপাদানগুলির লাভ পায়। কিন্তু পরিমানে বেশি হলেই এই সব অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রথমে ফ্রি রেডিকেলসের সংস্পর্শে আসে পরে শরীরে সুস্থ কোষগুলোর ক্ষতি করতে শুরু করে।
ওজন বাড়াতে পারে
কিশমিশে বেশি ক্যালোরি আছে। তাই যারা ওজন কমানোর জন্য বিশেষ ডায়েট প্ল্যান মেনে চলছেন তারা হেভি ওয়ার্কআউটের পর ক্লান্তি অনুভব করলে শরীর চাঙ্গা করতে কিশমিশ খেতে পারেন কিন্তু এটা যদি মাত্রাতিরিক্ত হয় তা হলে ওজন বাড়তে পারে।
রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে পারে
যদিও কিশমিশের গ্লাইসিমিক ইন্ডেক্স কম তবে এতে চিনি ও ক্যালোরির পরিমান থাকে অনেকটাই বেশি। তাই ডায়বিটিসের রোগীরা কিশমিশ খেতে পারেন কিন্তু পরিমান নিয়ে খুব সতর্ক থাকতে হবে বেশি হলেই সমস্যা হতে পারে।
(ছবি সৌ:Unsplash)