উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগের ম্যাচে বায়ার্ন মিউনিখকে উড়িয়ে দিল ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। মঙ্গলবার রাতে নিজদের আল ইত্তিহাদ স্টেডিয়ামে ছয় বারের চ্যাম্পিয়ন বায়ার্নকে পেপ গুয়েরদিওলার ম্যাঞ্চেস্টার সিটি হারিয়ে দিল ৩-০ গোলে। প্রথমার্দ্ধে রদ্রির গোলে এগিয়েছিল ম্যান সিটি। বিরতির পর বাকি গোল দুটি করেন বের্নাদো সিলভা এবং আর্লিং হাল্যান্ড। মঙ্গলরাতের অন্য কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে বেনফিকার মাঠে গিয়ে তাদের ২-০ গোলে হারিয়ে দিয়ে এল ইন্টার মিলান। গোল শূণ্য প্রথমার্দ্ধের পর দ্বিতীয়ার্দ্ধে ইন্টার মিলানের হয়ে গোল দুটি করেন নিকোলা বারেলা এবং রোমেলো লুকাকু। তবে বায়ার্নের বিরুদ্ধে ম্যান সিটির জয়ে উত্তাল ফুটবল বিশ্ব। বায়ার্ন সচরাচর ম্যাচ হারে না। কিন্তু ম্যাঞ্চেস্টার সিটির কাছে তাদের তিন গোলে হার সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।
তবে সব মিলিয়ে বায়ার্নের হার তাদের সাম্প্রতিক ফর্মের সঙ্গে মানানসই। কদিন আগেই তারা জুলিয়েন নাগেলসম্যানকে সরিয়ে কোচ করে এনেছে টমাস টুচেলকে। কিন্তু ম্যান সিটির মতো হেভিওয়েট টিমের বিরুদ্ধে বায়ার্ন যে এখনও তৈরি নয়, তা তো বোঝাই গেল। ম্যান সিটি নিজেদের রক্ষণকে শক্তিশালী করার জন্য শুরু করেছিল ৩-২-৪-১ ফর্মেশনে। গোলে এডেরসন। তিন ব্যাক আকেনজি, রুবেন ডায়াস এবং একে। দুই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার ছিলেন জন স্টোন্স এবং রড্রি। চার মিডফিল্ডার বের্নাদো সিলভা, কেভিন দে ব্রুইন, ইকের গ্রুন্ডোগান এবং জাক গ্রিলিশ। সিঙ্গল ফরোয়ার্ড আর্লিং হাল্যান্ড। শুরু থেকেই নিজেদের মাঠে গ্যালারির সমর্থন পেয়ে ম্যান সিটি বিপক্ষের উপর জাঁকিয়ে বসে। একটার পর একটা আক্রমণে তারা ঝাঁঝরা করে দেয় বায়ার্নকে। কিন্তু বায়ার্ন ডিফেন্স খুবই দৃঢ়তার সঙ্গে খেলে আটকে দেয় সিটির দাপট। কিন্তু ২৭ মিনিটে তাদের ডিফেন্স ভেঙে পড়ে। বক্সের সামনে বল পেয়ে রদ্রির জোরালো শট বায়ার্ন গোলকিপার ম্যাথিয়াস সমারকে বিভ্রান্ত করে গোলে ঢুকে যায়। এর পর কিন্তু বায়ার্ন আক্রমণে যায় বার বার। এই সময় শুধু নয়, গোটা ম্যাচেই তাদের বল পজেশন অনেক বেশি ছিল ম্যান সিটির তুলনায়। তবু বিরতির পর তারা আবার দুটো গোল খেয়ে যায়।
৭০ মিনিটে গোল করেন বের্নাদো সিলভা। আর ৭৬ মিনিটে গোল করেন আর্লিং হাল্যান্ড। প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে ৩-০ গোলে এগিয়ে থাকায় ম্যান সিটির সেমিফাইনালে যাওয়া অনেকটাই নিশ্চিত। তবে বায়ার্নের ফিরে আসার ট্রাডিশন আছে। তাই ম্যান সিটি যে সেমিফাইনালে যাবেই তা বলা যাচ্ছে না। তবে পেপ গুয়েরদিওলার টিমকে চার গোল দিয়ে হারানো বেশ কঠিন। এদিক দিয়ে দেখলে বেনফিকার বিরুদ্ধে ইন্টার মিলানের জয় অনেকটাই সেমিফাইনালে তুলে দিয়েছে ইতালির টিমকে। ইন্টার শেষ বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছিল ২০১০ সালে। গত রাতে তাদের হয়ে ৫১ মিনিটে প্রথম গোলটি করেন নিকোলা বারেলা। আর ৮২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে দ্বিতীয় গোলটি করেন রোমেলো লুকাকু।