কলকাতা: মনোনয়ন (Nomination) জমার শেষ দিনে বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের (TMC) ছন্নছাড়া দশা দেখা গেল। তৃণমূল থেকে বেরিয়ে অনেকে কংগ্রেসে (Congress) এমনকী কেউ কেউ বিজেপিতে (BJP) যোগ দিলেন। মনোনয়ন পর্বে দলবদলের ছবি দেখা যাচ্ছিল বিভিন্ন জেলায়। শেষ দিনে তা আরও বড় আকারে দেখা গেল। তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে তাঁদের এই দলবদল।
তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে বৃহস্পতিবার একসঙ্গে দল ছাড়লেন তৃণমূলের ১৮ জন পঞ্চায়েত (Panchayat) সদস্য। মালদহের কালিয়াচক ১ ব্লকের সুজাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের (Sujapur Gram Panchayat) ঘটনা। কালিয়াচক-১ পঞ্চায়েত সমিতি (Kaliyachak 1 Panchayat Samiti) সহ সভাপতিও তালিকা্য় রয়েছেন। এই ঘটনায় মালদহ (Maldah) জেলাতে সাড়া পড়েছে। তবে একে আমল দিতে রাজি নয় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। যাঁরা দলত্যাগ করলেন তাঁদের অভিযোগ, টাকা নিয়ে আসন বিক্রি করেছে তৃণমূল। কালিয়াচকের কংগ্রেস সভাপতি ইমরান আলির বক্তব্য, এর ফলে কালিয়াচকে তাঁদের সংগঠন আরও শক্তিশালী হল। এদিকে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের প্রাক্তন সদস্য পুষ্পরানী বিশ্বাস বিজেপিতে (BJP) যোগ দিয়েছেন। হাবড়া ২ ব্লক থেকে বিজেপির হয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তিনি। এদিন পশ্চিম বর্ধমানের অণ্ডালের কাজোড়া সরিষাডাঙায় পথ অবরোধ করেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীরা। পঞ্চায়েতে টিকিট দেওয়াকে কেন্দ্র করেই গণ্ডগোল।
মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) একাধিক জায়গায় বড় আকারে দলবদলের ঘটনা সামনে এসেছে। সেখানে তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে নির্দল হয়ে অনেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। ইতিমধ্যে মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর সহ চার বিধায়ক সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন তাঁদের প্রার্থীরা তৃণমূলের টিকিট পাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্ব পায়নি। সূত্রের খবর, তাঁরা নির্দল প্রার্থী দাঁড় করিয়েছেন।
দলের টিকিট না পেয়ে নির্দলে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীরা পুরুলিয়াতেও (Purulia)। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়পত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে শাসকদলের একাধিক আসনে বিক্ষুব্ধরা নির্দল প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন অনেকে। প্রাক্তন জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী ও বিদায়ী নারী ও শিশু কল্যাণ কর্মধ্যক্ষ নিয়তি মাহাতো। গতকাল দলের পক্ষ থেকে প্রার্থীদের ৫ নম্বর সিটে কাপড়ে মুখ ঢেকে মানবাজার মহকুমা শাসকের অফিসে নির্দল প্রার্থী হয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দেন। এছাড়াও ২৯ নম্বর সিটে দলের প্রার্থী করা হয় কবিতা মাহাতোকে। তিনি মানবাজার ব্লক সভাপতির স্ত্রী। অভিযোগ জেলা পরিষদের এলাকা বাইরের লোককে প্রার্থী করা হয়েছে দলের পক্ষ থেকে। এরই প্রতিবাদে গোপালনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান ও যুব তৃনমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি কিশোর মাহাতো তাঁর স্ত্রীকে দিয়ে মনোনয়ন জমা করেন।