মায়া সভ্যতার সময়কার মাটির পাত্র, কবরস্থান, স্প্যানিশ বন্দুকের বুলেট খুঁজে পাওয়া গেল গুয়াতেমালায়। জানা গেছে, স্প্যানিশ আগ্রাসনের সামনে সবার শেষে নতজানু হয়েছিল মায়া সভ্যতার এই শহরটাই। প্রত্নতাত্ত্বিকরা জানিয়েছেন, গুয়াতেমালার তায়াসালে ৯০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে বসতি স্থাপন করেছিল মায়া সভ্যতার মানুষ। ১৬৯৭ সালে স্প্যানিশদের আক্রমণে শেষ পর্যন্ত হার স্বীকার করে তারা। ইউরোপীয়দের আগ্রাসন শুরু হয়েছিল তারও ১০০ বছর আগে।
১০০ বছর ধরে স্প্যানিশদের শাসনের বাইরে ছিল তায়াসালের মায়ানরা। তার কারণ একটি ঘন জঙ্গল প্রাকৃতিক ভাবে তায়াসাল এবং স্প্যানিশ রাজত্বের মধ্যে সীমানা খাড়া করেছিল। প্রত্নতাত্ত্বিকরা পেটেন ইটজা হ্রদের কাছে প্রায় সাত বর্গকিমি জায়গা জুড়ে খনন করেছেন। প্রাচীন আমলের যা কিছু নিদর্শন তা পাওয়া গেছে মাটির নীচে কিংবা কৃষিজমির নীচে। একটি ৩০ মিটার উঁচু দুর্গ খুঁজে পাওয়া গেছে, বিশেষজ্ঞদের ধারণা সেটা ছিল উচ্চবংশ বা শাসকদের বাড়ি। প্রি-হিসপ্যানিক সময় পর্যন্ত ব্যবহৃত হওয়া একটি কুয়ো পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: South Korea Stampede: দক্ষিণ কোরিয়ায় ‘হ্যালোউইন’ উৎসবে পদপিষ্ট হয়ে দেড় শতাধিক মানুষের মৃত্যু
খননকার্য সহ গোটা প্রজেক্টের উদ্দেশ্য ছিল মায়া সভ্যতার প্রত্নতাত্ত্বিক মূল্য সম্পর্কে পর্যটকদের বেশি করে অবগত করা। এ কথা জানিয়েছেন, গুয়াতেমালার সংস্কৃতি ও ক্রীড়া মন্ত্রী জেনই ব্যারিওস। সে কাজ যথেষ্ট সফল হয়েছে তা বলাই বাহুল্য। প্রসঙ্গত, মায়া সভ্যতা উন্নতির শিখরে উঠেছিল ২৫০ থেকে ৯০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে। মেক্সিকোর দক্ষিণাংশ, গুয়াতেমালায় ছিল এদের বসতি। বেলিজ, এল সালভাদর এবং হন্ডুরাসেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল তারা।