আমেদাবাদ: গুজরাতের আমেদাবাদে (Ahmedabad, Gujarat) উত্তরায়ণ উৎসব (Festival of Uttarayan) চলাকালীন ১৬০০টিরও বেশি পাখি আহত (Birds Injured) হয়েছে। আহত পাখিগুলিকে উদ্ধারের পর জীববিদ্যা চ্যারিটেবল ট্রাস্ট (Jivdaya Charitable Trust)-এ নিয়ে আসা হয়। বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, ১ থেকে ১৫ জানুয়ারি উত্তরায়ণ উৎসব উপলক্ষ্যে স্বেচ্ছাসেবকরা (Volunteers) ঘুড়ি উড়িয়েছেন (Kite Flying)। ঘুড়ির সুতোতেই (Kite Threads) পাখিগুলি আহত হয়েছে বলে খবর।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থার (News Agency) দেওয়া খবর অনুযায়ী, এমাসের পয়লা তারিখ থেকে পনেরো তারিখের মধ্যে ১৬০০টি পাখিকে আহত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়। এর মধ্যে ১৪ জানুয়ারি ৪৫৫টি পাখিকে আনা হয় এবং ১৫ তারিখ বিকেলে ৩টে পর্যন্ত আরও ২০০টি পাখিকে আহত অবস্থায় উদ্ধার (Rescue) করে নিয়ে আসা হয় জীববিদ্যা চ্যারিটেবল ট্রাস্টে।
আরও পড়ুন: ‘Mitthye Premer Gaan’: প্রকাশ্যে ‘মিথ্যে প্রেমের গান’ এর অভিনেতাদের ফার্স্টলুক
ট্রাস্টের এক আধিকারিক এবিষয়ে গত রবিবার জানিয়েছেন, “১৪ জানুয়ারি আমরা ৪৫৫টি পাখিকে শুশ্রূষা করেছি। এরপর, আজ (১৫ জানুয়ারি) বিকেল ৩টে পর্যন্ত আরও ২০০টি পাখিকে আনা হয়। হিসেব অনুযায়ী, ১৬০০ পাখিকে আমরা আহত অবস্থায় পেয়েছি। এর মধ্যে ১৩০টি পাখির অপারেশন (Operation) করতে হয়েছে। আমাদের এখানেই অপারেশন থিয়েটার (Operation Theatre) রয়েছে, সেখানেই সমস্ত অপারেশন হয়েছে।”
পরিসংখ্যান বলছে, বিগত কয়েক বছরের তুলনায়, এবছর পাখিদের আঘাত পাওয়ার ঘটনা বেড়েছে। গত তিনমাস ধরে ট্রাস্টের ৪০০-৫০০ লোকজন পাখিদের বাঁচানোর জন্য কাজ করেছেন। ১০০ জনেরও বেশি ডাক্তার আহত পাখিদের চিকিৎসা (Treatment) করেছেন। শুধু দেশ নয়, বিদেশ থেকেও ডাক্তাররা (Doctors) এসেছেন। তাঁরা স্বেচ্ছাতেই অংশগ্রহণ করেছেন পাখিদের সুস্থ করে তুলতে। এখানে উল্লেখ্য, জীববিদ্যা চ্যারিটেবল ট্রাস্টের ২০০ জন স্বেচ্ছাসেবী এবং ৮০ জন স্থায়ী কর্মী রয়েছে।
ব্রিটেন থেকে এদেশে আসা অ্যাভিয়ান মেডিসিন ও সার্জারি (Avian Medicine and Surgery) বিশেষজ্ঞ এক ভেটেরিনারি ডাক্তার (Veterinary Doctor) বলেছেন, “দুই সপ্তাহের জন্য আমি ভারতে এসেছি। আহত পাখিদের সুশ্রূষা করার জন্যই এসেছি। পাখিগুলি ঘুড়ির সুতোতেই আহত হয়েছে। আমি পাখিদের চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ।”
এদিকে, জীববিদ্যা চ্যারিটেবল ট্রাস্টের পক্ষ থেকে স্থানীয় লোকজনকে অনুরোধ করা হয়েছে, সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত তাঁরা যেন ঘুড়ি না ওড়ান। কারণ পাখিরা ওই সময় খাদ্যের সন্ধানে বাইরে বেরোয় এবং নানান স্থানে উড়ে বেড়ায় বিকেলে ঘরে ফেরার আগে।