বসিরহাট: শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি, কাশি নিয়ে বসিরহাট (Basirhat) স্বাস্থ্য জেলা হাসপাতালে (Hospital) ভর্তি বহু শিশু (Child)। বসিরহাটের সীমান্ত থেকে শুরু করে সুন্দরবনের ১০টি ব্লকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ৬ মাস থেকে থেকে ১২ বছর বয়সের মধ্যে শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর।
এদিকে রবিবার বেশি রাতে কলকাতার বি সি রায় হাসপাতালে শাসন থানার গোলাবাড়ির এক শিশুর মৃত্যু হয়। দিন কয়েক আগে নুসাইবা শিরিন নামে ১১ মাসের ওই শিশুকে অত্যন্ত সংকটজনক অবস্থায় কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। চিকিৎসকরা জানান, অ্যাডিনো ভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে শিশুটির।
আরও পড়ুন: Adinovirous: বি সি রায় শিশু হাসপাতালে ফের শিশুমৃত্যু
বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলা হাসপাতাল সূত্রের খবর, বর্তমানে শিশু বিভাগে ভর্তি ৬৫টি শিশু।পাশাপাশি স্বরূপনগর গ্রামীণ হাসপাতাল, হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতাল, সন্দেশখালি ঘোষপুর হাসপাতাল, হিঙ্গলগঞ্জের স্যান্ডেলবিল গ্রামীণ হাসপাতালে, বাদুড়িয়া গ্রামীণ হাসপাতাল, টাকি গ্রামীণ হাসপাতালে শিশু বিভাগে ভর্তির সংখ্যা সব মিলিয়ে দুই শতাধিক।
বসিরহাট জেলা হাসপাতালের অতিরিক্ত সুপার সুপ্রিয়া শীল জানান, জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে বহু শিশু। তবে এখনও অ্যাডিনো ভাইরাসের কোনও সংক্রমণ ঘটেনি। বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ৬৫ শিশুর মুখের লালা এবং রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে বিশেষ ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হচ্ছে।
জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগে যখন রোজই শিশুমৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে, তখনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আতঙ্কের কোনও কারণ নেই বলে রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করলেন। বৃহস্পতিবার নবান্নে তিনি বলেন, এক শ্রেণির মিডিয়া অ্যাডিনো ভাইরাস নিয়ে অযথা আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। কয়েকটি শিশুর মৃত্যুর কথা স্বীকার করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যে কোনও শিশুর মৃত্যুই দুঃখজনক। তবে অনেক শিশু কোমর্বিডিটির কারণে মারা যাচ্ছে। তিনি জানান, চিকিৎসার পর্যাপ্ত পরিকাঠামো রয়েছে। সাবধানতা বজায় রাখলেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে।