নয়াদিল্লি: পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ভারতে আসছেন। বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি ( Foreign Minister Bilawal Bhutto Zardari) ভারতের মাটিতে পা দিতে চলেছেন। বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে গোয়ায় আসছেন বিলাওয়াল। প্রায় আট বছর পরে উচ্চ পদস্থ কোনও পাক নেতা-মন্ত্রী ভারতে আসছেন। সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের (Shanghai Cooperation Organisation’s –SCO) বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের সময় ভারতে এসেছিলেন সেসময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। নওয়াজ শরিফের (Nawaz Sharif ) ভাই শেহবাজ শরিফ এখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister)। সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঙ্ঘে (UN) বিলাওয়াল ভুট্টো তোপ দাগতে চান দিল্লিকে (Delhi)। যার যোগ্য জবাব ভারত দিয়েছে ইসলামাবাদকে।
আট সদস্যের সাংহাই কোঅপারেশনে বিশ্বের ৪২ শতাংশ জনসংখ্যা্র প্রতিনিধি রয়েছে। ২৫ শতাংশ আন্তর্জাতিক জিডিপি রয়েছে এই সদ্স্য দেশগুলির। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, পরের মাসে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি ভারত পরিদর্শনে যাবেন। তাঁর যাওয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের বিদেশ মন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দেওয়া। মে মাসের ৪-৫ তারিখ ওই বৈঠক হবে। পাকিস্তানের প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেবেন বিলাওয়াল। পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মুমতাজ জারা বালোচ এই খবর জানিয়েছেন। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয় নয়াদিল্লির বালাকোটে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর। ২০১৯ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে পুলওয়ামায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পরে ভারত ওই স্ট্রাইক করে। ২০১৯ সালে আগস্ট মাসে জম্মু কাশ্মীরকে কেন্দ্র শাসিত রাজ্য ঘোষণার পরে সম্পর্কের ফের অবনতি হয়।
আরও পড়ুন: Cannes Film Festival | SRFTI | এসআরএফটিআই-এর প্রাক্তনীর ছবি দেখানো হবে কান চলচ্চিত্র উৎসবে
বিগত বেশ কয়েক বছরে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে পাকিস্তানের। বাণিজ্যিক সম্পর্কও ছিন্ন হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। তবে এরই মধ্যে কিছু কিছু ইতিবাচক ঘটনাও ঘটেছে। করতারপুর করিডোরের মাধ্যমে পাকিস্তানে যেতে পেরেছেন কয়েক হাজার শিখ পুণ্যার্থী। তবে এরই মাঝে সন্ত্রাসে মদত দেওয়া থেকে বিরত থাকতে পারেনি পাকিস্তান। ২০১৯ সালে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের বিষয়টি হজম করতে পারেনি পাকিস্তান। এই নিয়ে রাষ্ট্রসংঘে বারংবার সরব হয়েছে ইসলামাবাদ। তবে তাতে কর্ণপাত করেনি ভারত। উলটে পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছে ভারত। এই আবহে এসসিও-র বৈঠকে যোগ দিতে পাক বিদেশমন্ত্রীর ভারত সফর তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।