কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: ভারতের সঙ্গে স্থায়ী শান্তিপূর্ণ বাতাবরণে আগ্রহী পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। তাঁর মতে, যুদ্ধ কোনও বিকল্প নয়। তিনি বলেছেন, আলোচনার মাধ্যমে আমরা ভারতের সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়া চাই। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সঙ্গে আলাপচারিতার সময় শরিফ বলেন, ভারত কিংবা পাকিস্তান, কারও কাছেই যুদ্ধ করে বিশেষ লাভ নেই। আমরা স্থায়ী শান্তি চাই।
উল্লেখযোগ্যভাবে পাক প্রধানমন্ত্রী কাশ্মীর বিতর্ক নিয়েও ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি-সুস্থিতির পরিবেশ বজায় রাখতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সমাধানও প্রয়োজন। পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রস্তাব এবং জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের ইচ্ছার মূল্য দিতে হবে। তা সত্ত্বেও তিনি বলেন, ভারত ও পাকিস্তানের মতো দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলুক। কিন্তু তা যেন কেবলমাত্র বাণিজ্য, অর্থনীতি ও দেশের উন্নয়নের প্রতিযোগিতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে।
একইসঙ্গে পাক প্রধানমন্ত্রী পরমাণু যুদ্ধাস্ত্র ও দেশের সেনাবাহিনীর প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আমরা দেশের সেনার জন্য যে ব্যয় করি তা শুধুমাত্র পাকিস্তানের সীমান্ত সুরক্ষায়, আগ্রাসন বা কারও উপর হামলার জন্য নয়। পড়ুয়াদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত কয়েক দশক ধরে পাকিস্তানে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও দেশের আর্থিক কাঠামোর কারণে অর্থনীতির এই সংকট দেখা দিয়েছে। পাকিস্তান গঠনের পর প্রথম কয়েক দশক ধরে দেশের মানুষের উৎসাহে অর্থনৈতিক উন্নতি হু-হু করে বেড়েছিল। নতুন নতুন পরিকল্পনা, উদ্যোগ-উদ্যমের জেরে দেশ মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু, সেই সময়টা বাদ দিলে পাকিস্তানে ধীরে ধীরে সেই উদ্যম কমতে থাকে। নীতিগত ভুলের কারণে উৎপাদন ক্ষমতায় ভাটা পড়ে বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেন পাক প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: Congress’s presidential election: রাহুলের ‘না’, প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে দল দ্বিধায়, কংগ্রেসের পরবর্তী সেনাপতি কে?
শরিফ বলেন, দেশের ডুবন্ত অর্থনীতিকে টেনে তুলতে তিনি তিন দফা ব্যবস্থা নিতে চলেছেন। প্রথমত পাকিস্তানের অর্থনীতির পুনরুজ্জীবন। দ্বিতীয়ত, জাতীয় উন্নয়নে তথ্যপ্রযুক্তিকে উন্নত করা। তৃতীয়ত, আরও বেশি মাত্রায় রফতানি বাণিজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।