মেদিনীপুর: পশ্চিম মেদিনীপুরের একই ব্লকে তৃণমূল (TMC) পরিচালিত দুটি পঞ্চায়েতে প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনলেন দলেরই সদস্যরা। তা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে জোর আলচনা শুরু হয়েছে। ঘটনা মোহনপুর (Mohanpur) ব্লকের ৩নম্বর মোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েত ও ২নম্বর শিয়ালসাই গ্রামে।
মোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৯ জন সদস্যের মধ্যে এক জন বিজেপি (BJP) সদস্য। প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে সই করেন তৃণমূলের ১২ জন সদস্য। তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য শুভেন্দু কর জানান, প্রধান এলাকার মানুষ এবং পঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গে কোনও সহযোগিতা করেন না।সদস্যদের সঙ্গে আলোচনারও প্রয়োজন মনে করেন না। অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তই প্রধান একা নিয়ে নেন। দলের স্থানীয় নেতৃত্বকে বারবার জানানোর পরও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে অনাস্থা প্রস্তাবের আনা হয়েছে। তিনি বলেন, আশা করি, দল সব দিক বিচার করে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।
আরও পড়ুন: Bashanti TMC Clash: বাসন্তীতে ফের তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল, হামলা আইসিডিএস সেন্টারে
অন্যদিকে পঞ্চায়েত প্রধান রুনা পাত্র বলেন, আমি সব সময় মানুষকে সাহায্য করি। পঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেই কাজ করি। আমার বিরুদ্ধে সদস্যরা ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন। রুনা জানান, তিনি এখনও অনাস্থা প্রস্তাবের কোনও চিঠি পাননি। চিঠি পেলে দেখা যাবে।
একইভাবে মোহনপুর ব্লকেরই শিয়ালসাই পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান ভগবান মাইতির বিরুদ্ধেও অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে্ন দলেরই সদস্যরা। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছেন দলীয় সদস্যরা।বিক্ষুব্ধ পঞ্চায়েত সদস্য খলিল মল্লিকের অভিযোগ, প্রধান অত্যন্ত দুর্নীতিগ্রস্ত। তাই তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয়েছে।অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান বলেন, দলেরই একশ্রেণির পঞ্চায়েত সদস্য আমাকে উন্নয়নের কাজ করতে বাধা দিচ্ছেন। যাঁরা আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনছেন, সময় হলে আমি প্রমাণ করে দেব কারা আসল দুর্নীতিগ্রস্ত।
জেলা বিজেপির মুখপাত্র অরূপ দাস কটাক্ষ করে বলেন, তৃণমূল দলটা দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে।তা না হলে একই ব্লকের দুটি পঞ্চায়েতে প্রধানের বিরুদ্ধে দলীয় সদস্যরা অনাস্থা প্রস্তাব আনবেন কেন।
বিজেপির এই কটাক্ষকে অবশ্য আমল দিতে চান না তৃণমূল নেতারা। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তপন প্রধান বলেন, দুর্নীতির প্রশ্নে বিজেপি আগে গৌতম আদানিকে সামলাক, পরে আমাদের দলের বিষয়ে কথা বলবে।