কলকাতা: দুর্গাপুজোর পর এবার সরস্বতী (Saraswati) পুজোর অনুষ্ঠান থেকে ব্রাত্য জেলবন্দি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ অন্য শিক্ষাকর্তারা। জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে, পুজোর জায়গায় তাঁদের অঞ্জলি দিতে দেওয়া যাবে না। কেন এমন সিদ্ধান্ত?
প্রতি বছরের মতো এবারও প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের (Presidency Correctional Home) গ্রন্থাগারে আয়োজন করা হচ্ছে সরস্বতী পুজোর। বিচারাধীন এবং সাজাপ্রাপ্ত বন্দিরাই ওই পুজো করেন। এ বছর পুজোয় পুরোহিত হিসাবে থাকছেন জয়ন্ত চক্রবর্তী নামে ব্যাঙ্ক প্রতারণার মামলায় বিচারাধীন এক বন্দি। জেল সূত্রের খবর, নিরাপত্তাজনিত কারণেই পুজোতে অঞ্জলি দেওয়ার অনুমতি পাননি পার্থ-সহ অন্য শিক্ষাকর্তারা।
প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya) রয়েছেন পহেলা বাইশ ওয়ার্ডে। এদিকে প্রাক্তন শিক্ষাকর্তা সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তিপ্রসাদ সিংহ,অশোক সাহা ও কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় রয়েছেন তেইশ-চুয়াল্লিশ ওয়ার্ডে। তাঁরা সকলেই অঞ্জলি দিতে চান পুজোয়।
আরও পড়ুন:TMC Leader Incident: তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান খুন, রানিনগরে গ্রেফতার ৩
পহেলা বাইশ ও তেইশ-চুয়াল্লিশ ওয়ার্ড থেকে গ্রন্থাগারের দূরত্ব প্রায় ৩০০ মিটার। মাঝখানে পড়ে বিপজ্জনক বন্দিদের ওয়ার্ড। সেই ওয়ার্ডের পর মন্দির এবং মসজিদ পেরিয়ে পৌঁছতে হয় গ্রন্থাগারে। ওই বিপজ্জনক বন্দিদের ওয়ার্ডের সামনে দিয়ে পার্থকে আনাটাই সমস্যা।কারারক্ষীদের একাংশ জানাচ্ছে,অনেক বন্দিই পার্থদের উপরে ক্ষুব্ধ। ওই বন্দিদের মতে, পার্থকে জেলে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়। এর আগে অনেক বার তাঁরা পার্থকে লক্ষ্য কর কটূক্তি করেছেন। সরস্বতী পুজোয় সময়ে অনেক বন্দিই গ্রন্থাগারে হাজির থাকবেন । সেখানে পার্থ-সহ শিক্ষাকর্তাদের নিয়ে যাওয়া অনেকটাই ঝুঁকির হবে বলে মনে করছেন জেলকর্তারা।
আবার পার্থকে একা সেল থেকে বের করে নিয়ে যাওয়াও ঠিক হবে না বলে মত জেল কর্তাদের। সেই কারণেই পার্থ-সহ অন্য শিক্ষাকর্তাদের সরস্বতী পুজোয় অঞ্জলি দেওয়ার ইচ্ছে অধরাই থেকে যাচ্ছে। যদিও পুজোর জন্য জেল কর্তৃপক্ষ যে বিশেষ খাবারের আয়োজন করেছে, তা থেকে বঞ্চিত হবেন না পার্থরা । প্রসঙ্গত, নিরাপত্তার কারণেই দুর্গাপুজোর সময় পঞ্চমীর দিন পুজো প্রাঙ্গণে থাকা সম্ভব হয়নি পার্থর।