পিএফআইয়ের ডাকা ১২ ঘণ্টার কেরালা হরতালকে বেআইনি ঘোষণা করল হাইকোর্ট। শুক্রবার স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করে বিচারপতি জয়শঙ্কর নাম্বিয়ারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য সরকারকে পিএফআইয়ের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নষ্ট হওয়া সরকারি সম্পত্তির হিসেব চেয়েছে আদালত।
অন্যদিকে, কেরালা থেকে গন্ডগোলের খবর পেয়ে তামিলনাড়ু সরকারও রাজ্যে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করেছে। কেউ বা কারা যাতে কোথাও অশান্তি পাকাতে না পারে, তার জন্য পুলিশকে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: NSA Ajit Doval: বুলেট চলল না, পিএফআইয়ের শিকড় উপড়ে দিলেন অজিত দোভাল
পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার নেতাদের বাড়ি ও অফিসে দেশজুড়ে এনআইএ-ইডির যৌথ তল্লাশির পর এদিন কেরালা বনধের ডাক দেয় কট্টরবাদী সংগঠন পিএফআই। এই বনধকে কেন্দ্র করে হিংসাত্মক ঘটনার সাক্ষী থাকল কোল্লামসহ আরও বেশ কয়েকটি এলাকা। এদিন ১২ ঘণ্টার কেরালা বনধের ডাক দিয়েছে তারা। সকাল থেকেই তা নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। কেরালা রাজ্য পরিবহণের বাসে ইট-পাথর ছোড়ে হরতাল সমর্থকরা। তিরুবনন্তপুরম, কোঝিকোড়, ওয়েনাড় ও আলাপ্পুঝা শহরেও অশান্তি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এনআইএর তল্লাশি শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই কোয়েম্বাটুরে বিজেপির কার্যালয়ে পেট্রল বোমা ছোড়ে পিএফআই কর্মীরা। আলাপ্পুঝায় রাজ্য পরিবহণের একটি বাস, ট্যাঙ্কার ও বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। খুব ভোরের দিকে সংবাদপত্রবাহী একটি গাড়িতে পেট্রল বোমা ছোড়া হয়েছে। পিএফআইয়ের কেরালার রাজ্য সভাপতি সি পি মহম্মদ বসির সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে এদিন হরতাল চলছে। পিএফআইয়ের শক্ত ঘাঁটি কেরালাতেই ২২ জনকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। তার মধ্যে রয়েছেন জাতীয় চেয়ারম্যান ও এম এ সালাম, জাতীয় সম্পাদক নাসিরুদ্দিন ইলামারাম, প্রাক্তন চেয়ারম্যান ই আবুবকর।
সকাল থেকে বিভিন্ন জায়গায় হিংসা ছড়িয়ে পড়ায় রাজ্য পুলিশ নিরাপত্তা জোরদার করেছে। পুলিশের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ভোররাত থেকে পিএফআইয়ের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। তার মধ্যে কলকাতা তিলজলায় এলাকার এক ব্যক্তির বাড়িও ছিল।