তিনি বিশ্বাস করেন না নরেন্দ্র মোদী এসব করাচ্ছেন। বাংলায় শাসক দলের নেতা-মন্ত্রী-বিধায়কদের বিরুদ্ধে তদন্তের নামে সিবিআই-ইডির (CBI & ED) অতি-সক্রিয়তার বিরুদ্ধে সোমবার বিধানসভায় আনা প্রস্তাবের উপর আলোচনায় মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, বিজেপির কিছু নেতা এসব কাজ করাচ্ছে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, রাজ্য বিজেপির কিছু শীর্ষস্থানীয় নেতা আর দিল্লির কয়েকজন নেতার দিকে স্পষ্ট ইঙ্গিত তাঁর। পাল্টা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, নিজেকে এবং ভাইপোকে বাঁচাতে এই কৌশল নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন প্রস্তাবের উপর আলোচনায় মুখ্যমন্ত্রী নাম না করে বিজেপির নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটকে টাকা দিয়ে সরকার ভেঙেছেন। ঝাড়খণ্ডেও চেষ্টা করেছেন হাতেনাতে ধরেছি। এই যে টাকা দিয়ে সরকার ভাঙছেন এত টাকা কোথা থেকে পেলেন। মমতার অভিযোগ, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার একশো দিনের কাজে টাকা দেওয়া বন্ধ করেছে। প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান জানিয়ে বলছি, এরা বাংলার প্রকল্পকে টাকা দিতে বারণ করে কিন্তু চিতা আনতে কোনও অসুবিধা হয় না।
রাজ্যের বিরোধী দল নেতার নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নারদার অভিযোগ উঠলে ববির ডাক পড়ে কিন্তু আপনাদের দলের নেতার ডাক পড়ে না। আজকে বিজেপি ক্ষমতায় আছে তাই তুমি সাধু। পুলিশকেও ফোন করে বলা হচ্ছে কথামত না চললে সিবিআই ডাকা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, আমরা চাই সিবিআই নিরপেক্ষ তদন্ত করুক। এরপর বিজেপির নেতাদের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, মনে রাথবেন পেগাসাস থেকে একদিন আপনারাও ছাড় পাবেন না। বিরোধীদের উপর অত্যাচার বন্ধ হওয়া জরুরি, তাই এই প্রস্তাব পাশ হোক।
বিরোধী দল নেতা তাঁর বক্তব্যে জানান, এই আলোচনার কোন প্রভাব ইডি-সিবিআই এর কাজে পড়বে না। চোর ধর জেলে ভর চলবে। যে বিষয় নিয়ে রাজ্য সরকার আলোচনা চাইছে সেটি এখানে আলোচনা না করে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া দরকার। সেটা না করে এখানে আলোচনা কেন। তার মানে ডাল মে কুছ কালা হ্যায়। অবশ্য সুপ্রিম কোর্টে গিয়েও কোনও সুবিধা হবে না, দাবি শুভেন্দু অধিকারীর।
শেষে ওই প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি হলে পক্ষে ১৮৯টি ভোট পড়ে আর বিপক্ষে ৬৪টি ভোট পড়ে। ভোটাভুটির শেষে বিরোধী দলের বিধায়কদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন মুখ্যমন্ত্রী।