ইসলামাবাদ: নির্বাচনমুখী পাকিস্তানে বড়সড় ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণা প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রাক্তন সক্রিয় সদস্য আলভির এই বিদ্রোহ সরাসরি পাক সেনাবাহিনীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। কারণ পাক পার্লামেন্টে পাশ হওয়া দুটি কেন্দ্রীয় বিলে স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করেন প্রেসিডেন্ট আলভি। কিন্তু, তাঁর দফতরের কর্মীরা প্রতারণা করেছে। ঘূণাক্ষরেও তা টের পাননি তিনি। বিল দুটির একটি হল, অফিসিয়াল সিক্রেটস (সংশোধনী) বিল, ২০২৩ এবং পাকিস্তান সেনা (সংশোধনী) বিল, ২০২৩। পাকিস্তানের রাজনৈতিক ইতিহাসে পাশ হওয়া বিলে প্রেসিডেন্টের সই করতে অস্বীকার করার ঘটনা বিরল।
পাকিস্তান ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে পাশ হওয়ার পর সেনেটেও বেরিয়ে গিয়েছে সরকারপক্ষ। অফিসিয়াল সিক্রেকটস বিলে রয়েছে, দেশের বিরুদ্ধে ক্ষতিকর এমন কিছুকে সরকার মনে করলে তা অপরাধ বলে গণ্য হবে। শত্রুর পক্ষে সুবিধা হবে, এমন কিছু করলে আইনের চোখে তার বিচার হবে, সেটা একমাসের মধ্যে হবে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে ফের জঙ্গি হামলায় মৃত্যু ১৩ জন শ্রমিকের, নিখোঁজ ৩
অন্যদিকে, সেনা আইনে রয়েছে, সেনাদের অবসর সংক্রান্ত বিষয়। এই আইন অনুসারে কোনও সেনা অবসর নিলে, ইস্তফা দিলে বা বরখাস্ত হলে দুবছরের মধ্যে রাজনীতিতে যোগ দিতে পারবেন না। সেনা অফিসারদের ক্ষেত্রে এটা পাঁচ বছর করা হয়েছে। এই আইন ভঙ্গকারীদের দুবছর পর্যন্ত জেলের দণ্ড নির্ধারণ করা হয়েছে। কোনও কর্মরত অথবা অবসরপ্রাপ্ত সেনা যদি বাহিনীর সমালোচনা করেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে ইলেকট্রনিক ক্রাইমস অ্যাক্টে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিলে সই না করে পাক প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তিনি এই আইনের সঙ্গে সহমত নন। আল্লা আমায় দেখছেন। এই দুই আইনের বিষয়ে আমি সহমত নই বলে সই করছি না। আমার কর্মীদের আমি বলেছি, সই ছাড়াই বিল দুটি ফেরত পাঠাতে। আমি বহুবার তাঁদের কাছে জানতে চেয়েছি বিল দুটি কি ফেরত দেওয়া হয়েছে? তাঁরা জানিয়েছিলেন হয়েছে। আজ আমি জানতে পেরেছি আমার কর্মীরাই আমার আদেশ মান্য করেননি। আল্লা সাক্ষী তিনি নিশ্চই আমাকে ক্ষমা করবেন। এই আইনে যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তাঁদের কাছেও আমি ক্ষমাপ্রার্থী।