কলকাতা: প্রাথমিকে ১১,৭৬০টি শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করে দিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (West Bengal Board of Primary Education)। মঙ্গলবার প্রথম ধাপে দুশো জন প্রার্থীকে ইন্টারভিউতে (Interview) ডাকা হয় কলকাতা রিজিয়ন থেকে। এই প্রথম গোটা ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া ক্যামেরাবন্দি করা হয়। প্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর কাগজে এবং কম্পিউটারে তোলা হয়। এবারই প্রথম প্রার্থীদের শিক্ষকতার যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষা নেওয়া হয়। তাঁদের ব্ল্যাকবোর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে ক্লাস করতে হয়েছে। তাঁরা কতটা স্মার্ট এবং যোগ্য, তা দেখা হয়।
অতীতে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে গত কয়েক বছরে রাজ্যে নানা দুর্নীতির অভিযোগ এসেছে। তা নিয়ে ভূরি ভূরি মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। আদালতের নির্দেশে অনেকের বেআইনিভাবে পাওয়া চাকরি বাতিল হয়ে যায়। আদালতের নির্দেশেই চলছে। আদালত বলে, এটা একটা বড় সামাজিক অপরাধ। একই অবস্থা স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School Service Commission) শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রেও ধরা পড়েছে। সেখানেও শিক্ষক এবং গ্রুপ সি এবং ডি কর্মী নিয়োগে নানা দুর্নীতির সন্ধান মিলেছে। সেই নিয়োগেও সিবিআই তদন্ত (CBI Investigation) অব্যাহত। অভিযোগ, যোগ্যদের বঞ্চিত করে অযোগ্যদের বেআইনিভাবে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে তদন্তে উঠে আসে।
আরও পড়ুন: Gandhi Family: ভারতের রাজনীতিতে সবথেকে দুর্নীতিগ্রস্ত হল গান্ধী পরিবার
এই পরিস্থিতিতে এবার নিয়োগ ঘিরে যাতে কোনও অভিযোগ না ওঠে, তার জন্য পর্ষদ সতর্ক ছিল। পর্ষদ সূত্রের খবর, এরপর থেকে দফায় দফায় চলবে ইন্টারভিউ নেওয়ার কাজ।
এদিকে দ্রুত নিয়োগের দাবিতে চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান আন্দোলন চলছে। ধর্মতলায় পাঁচ জায়গায় বিভিন্ন সংগঠন অবস্থান করছেন। ধর্মতলায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে এসএলএসটি উত্তীর্ণ নবম, দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির চাকরিপ্রার্থীরা ৬৫৩দিন ধরে অবস্থান চালাচ্ছেন। মশার কামড় থেকে বাঁচতে অবস্থানকারীরা এক বিশাল মশারি টাঙিয়ে তার ভিতরে ঢুকে বিক্ষোভ দেখান।