ভোপাল: হিমাচল প্রদেশ এবং কর্নাটক বিজেপি-র হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার পর কংগ্রেস এখন আদাজল খেয়ে মধ্যপ্রদেশ দখলে প্রাণ ঢেলে দিতে চাইছে। রাজীব-বান্ধব মাধবরাও সিন্ধিয়ার পুত্র জ্যোতিরাদিত্যর ‘বিদ্রোহকালে’ গদিচ্যুত হওয়ার ক্ষত ভুলতে পারছে না আকবর রোডের নেতৃত্ব। তাই এবার বদলা নেওয়ার পালায় ভোটের প্রায় পাঁচ মাস আগেই তেড়েফুঁড়ে প্রচারে নামতে চলেছে কংগ্রেস। আজ, সোমবার পুজো দিয়ে রাজ্যে কংগ্রেসের প্রচারের ঘণ্টা বাজাতে চলেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
জব্বলপুরে প্রচার শুরুর আগে এদিন সকালে তিনি নর্মদার গৌরীঘাটে গিয়ে পুজো দেন। নর্মদাকে আরতি করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা কমল নাথ। ২০১৮ সালেও এখানে পুজো দিয়ে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন তৎকালীন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। সেবার কংগ্রেস মধ্যপ্রদেশে ভোটে জিতে ক্ষমতায় এসেছিল। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন কমল নাথ।
আরও পড়ুন: Daily Bengali Horoscopes | Ajker Rashifal | আজকের রাশিফল | ১২ জুন, ২০২৩
প্রসঙ্গত, জব্বলপুর এলাকাটি মহাকোশল অঞ্চলের মধ্যে পড়ে। এখানে ভোটারদের একটা বিরাট অংশই হল আদিবাসী ভোটার। ২০১৮ সালের ভোটে ২৩০ আসনবিশিষ্ট বিধানসভায় ১৩টি তফসিলি উপজাতি সংরক্ষিত কেন্দ্রের ১১টিতেই জিতেছিল কংগ্রেস। বিজেপি পেয়েছিল মাত্র ২টি। এরপর প্রিয়াঙ্কা রানি দুর্গাবতীর স্মৃতিতে শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন।
আসন্ন নির্বাচনকে খাটো করে দেখছে না বিজেপিও। রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রায় মধ্যপ্রদেশ থেকে ব্যাপক সাড়া মিলেছিল। তাছাড়া হিমাচলের পর কর্নাটকের আঘাত মেনে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে বিজেপির কাছে। সে কারণে মধ্যপ্রদেশের মতো বিশাল রাজ্যের রশি নিজের হাতে রাখতে মরিয়া পদ্ম শিবির। কিন্তু, প্রশ্ন উঠেছে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, নাকি কংগ্রেস ভেঙে আসা ‘সিন্ধিয়ারাজ’ জ্যোতিরাদিত্যকে মুখ করে ভোটে যেতে চাইছে কংগ্রেস! আবার বিজেপির ‘একমেবাদ্বিতীয়ম’ নেতা নরেন্দ্র মোদিকেই বৈতরণী পারে দলের লেজ ধরে টেনে নিয়ে যেতে হবে কিনা তা নিয়েও নানা মুনির নানা মত সামনে আসছে।
একটি জনমত সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, ৩৭ শতাংশ মোদিকে মুখ করার পক্ষে, ২৪ শতাংশের পছন্দ মুখ্যমন্ত্রী চৌহান, ২০ শতাংশ সিন্ধিয়া এবং ১৯ শতাংশের রায় তাঁরা বলতে পারবেন না।