সিমলা: দলের এই ভাঙাচোরা অবস্থার মধ্যেও হিমাচল প্রদেশে কংগ্রেসের জয় যথেষ্ট নজরকাড়া সাফল্য বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কিন্তু কংগ্রেস তো আছে কংগ্রেসেই। আর এহেন পরিস্থিতিতে উত্তর ভারতের এই রাজ্যে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী বাছতে আরও একবার সেই গান্ধী পরিবারের দিকেই তাকিয়ে শতবর্ষ প্রাচীন দলের নেতারা। কংগ্রেস সূত্রে খবর, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi) হিমাচল প্রদেশের নতুন মুখ্যমন্ত্রীর নাম চূড়ান্ত করবেন। শুক্রবার বিকেলে ৪০ বিধায়কের দীর্ঘ বৈঠকের পরেও ঐক্যমত্যে পৌঁছনো যায়নি। মুখরক্ষার জন্য এক লাইনের প্রস্তাবে আপাতত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব হাইকম্যান্ডের উপরেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। হিমাচলের ভোটে শুরু থেকেই প্রচারের দায়িত্বে ছিলেন সোনিয়া-কন্যা। ফলে তাঁর সিদ্ধান্তকেই এখন গুরুত্ব দিচ্ছে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব।
ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর পদের জোরদার দাবিদার হিসাবে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংয়ের স্ত্রী প্রতিভা সিং। মান্ডির কংগ্রেস সাংসদ আপাতত দলের প্রদেশ সভাপতির দায়িত্বে। শুক্রবার সিমলায় কংগ্রেস অফিসের বাইরে প্রতিভাকে মুখ্যমন্ত্রী চেয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁর সমর্থকরা। পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে থাকা ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের গাড়ি আটকে দাবি জানান তাঁরা।
তবে, সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে, প্রতিভা নন মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে আছেন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সুখবিন্দর সিং সুখু (Sukhwinder Singh Sukhu), প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা মুকেশ অগ্নিহোত্রী (Mukesh Agnihotri) এবং রাজিন্দর রানা (Rajinder Rana)। সূত্রের খবর, পরিস্থিতি বুঝে ছেলে বিক্রমাদিত্যের জন্য উপ মুখ্যমন্ত্রী পদ নিশ্চিন্ত করতে প্রবল চেষ্টা চালাচ্ছেন প্রতিভা সিং (Pratibha Singh)। এদিকে তিন নির্দল বিধায়কও কংগ্রেসকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
হিমাচলে কংগ্রেসের আভ্যন্তরীন সমীকরণে প্রয়াত বীরভদ্র সিংয়ের পরিবার যথেষ্ট প্রভাবশালী। সেইসঙ্গে ঠাকুর, ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের এলাকা ভিত্তিক প্রভাব রয়েছে। সব দিক মাথায় রেখেই তিন নেতার নাম সামনে আসছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। কংগ্রেসের একাংশের মতে, হিমাচলের এই জয় প্রিয়াঙ্কার রাজনৈতিক জীবনের প্রথম বড় নির্বাচনী সাফল্য। সেদিকে নজর রেখেই দলের নেতারা এবার মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঠিক করতেও প্রিয়াঙ্কার সিদ্ধান্তকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন।