আবারও শাসকদলের মদতপুষ্ট কর্মী সংগঠনের নৈরাজ্য রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে (Rabindra Bharati University)। ফলে পুজাবকাশের পর দরজা থুলতেই কাজে বাধা উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরীকে (Sabyasachi Basu Ray Chaudhury)। বুধবার তাঁর দফতর থেকে সমস্ত কর্মচারীকে তুলে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ উপাচার্যের। এমনকী তাঁর বা রেজিস্ট্রারের কোনও অনুমতিও নেওয়া হয়নি। উপাচার্য বলেন, এই অবস্থায় আমার পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করা অসম্ভব হয়ে উঠছে। বিষয়টি তিনি শিক্ষামন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রীকে জানাবেন কি না, জানতে চাওয়া হলে উপাচার্য বলেন, সেটা পরে ঠিক করব।
সূত্রের খবর, গত তিন মাসে তিনবার কাজে বাধা পেয়েছেন উপাচার্য। সব ক্ষেত্রেই বাধা দিয়েছে শাসকদলের ঘনিষ্ঠ কর্মী সংগঠন। উপাচার্য বলেন, যাঁরা বাধা দিচ্ছেন, তাঁরা নিজেদের শাসকদলের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচয় দেন। এদিন তিনি তিনি জানান, তাঁকে না বলেই উপাচার্যের দফতরের কর্মীদে্র অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: Anubrata Mandal: দিল্লি ও কলকাতায় সুকন্যা-সহ কেষ্ট ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তিকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ
গত ১০ জুন এবং ১৮ জুলাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) চিঠি দিয়েছিলেন উপাচার্য। তাতে তিনি জানিয়েছিলেন, তৃণমূল কর্মচারী সংগঠনের দাদাগিরিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দৈনন্দিন প্রশাসনিক কাজকর্ম পরিচালনা করা যাচ্ছে না। বাইশে শ্রাবণ তিনি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকেও চিঠি দিয়ে অব্যাহতি চেয়েছিলেন। একই ভাবে অব্যাহতি চেয়ে চিঠি দেন তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে। তাঁদের অনুরোধেই তিনি কাজ চালিয়ে যেতে সম্মত হন। সেই সময়ও উপাচার্যকে নানাভাবে হেনস্তা করা হয়। তাতে একশ্রেণির পড়ুয়াও ছিলেন। তাঁদের দাবি ছিল, অনলাইন পরীক্ষা নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অফলাইন পরীক্ষায় অনড় ছিল। শেষ পর্যন্ত অফলাইন পরীক্ষাই হয়। তখনও পড়ুয়ারা তাঁর দফতরের অফিসারদের শারীরিক নিগ্রহ করেন।
উপাচার্য জানান, নৈরাজ্য এখনও অব্যাহত। পরিস্থিতি বরং আরও খারাপ হয়েছে। এই অবস্থায় তাঁর পক্ষে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন, লক্ষ্ণীপুজো আর কালীপুজোর মাঝে কয়েকদিনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় খুললেও একই ভাবে বাধা দেওয়া হয়। এসে দেখি, আমার দফতরের অনেক কর্মীকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।