পঞ্চায়েতের আগে কোমর বেঁধে রাস্তায় নামার মরীয়া চেষ্টায় বামফ্রন্ট। বিধানসভায় একটি আসনও নেই। স্বাধীনতা পরবর্তী রাজ্যের পরিষদীয় রাজনীতির ইতিহাসে বামেদের এত শোচনীয় অবস্থা যে কখনও হয়নি তা পরিসংখ্যানই স্পষ্ট করে দিচ্ছে। অগত্যা গ্রাম বাংলার ভোটে যাতে কিছুটা হাল ফেরে সেকথা মাথায় রেখে জনসংযোগের পথেই হাঁটছে বামফ্রন্ট।
সে পথে হাঁটতে গিয়ে রাস্তাই যে একমাত্র রাস্তা তা আরও একবার দলের কর্মী-সমর্থকদের কাছে সাংগঠনিক বার্তায় পৌঁছে দিয়েছেন বাম নেতৃত্ব। সেজন্য জাঠা কর্মসূচীর মাধ্যমে নতুন করে গ্রামে, গ্রামে জনসংযোগ শুরু করছে তারা। ফলও মিলছে। জঙ্গলমহলে প্রায় প্রতিটা মিছিলে লক্ষণীয় সংখ্যক কর্মী-সমর্থককে পথে নামতে দেখা যাচ্ছে। ২০১৬ সালের আগে পরে গ্রাম-গ্রামান্তরে জাঠা কর্মসূচিতে নেমে খানিকটা হলেও সমর্থন টিকিয়ে রাখার আশা জিইয়ে রাখছিলেন বামপন্থীরা। কিন্তু তারপর থেকে সেরকম দীর্ঘমেয়াদি কোনও কর্মসূচিতে নামার ইঙ্গিত দিচ্ছিল না আলিমুদ্দিন।
অবশেষে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই। বামেদের দাবি, শ্রমিক, কৃষক, খেতমজুরদের পাশপাশি ছাত্র-যুব, মহিলা সহ সমাজের প্রায় সব অংশকে সঙ্গে নিয়ে গ্রাম জাগাও চোর তাড়াও বাংলা বাঁচাও এই দাবিতে শুরু হয়েছে তাদের জাঠা কর্মসূচি। আর সে কর্মসূচির অংশ হিসাবে ঝাড়গ্রাম জেলার চন্দ্রী এলাকার ৭টি অঞ্চলে সোমবার মিছিল করা হয় সিপিএমের তরফে। স্থানীয় সূত্রে দাবি, মিছিলে লোকসংখ্যা মন্দ নয়।
চন্দ্রী পঞ্চায়েত অফিসে ডেপুটেশনও দেন বাম কর্মী-সমর্থকরা। মূল দাবি, ১০০ দিনের কাজে যে মজুরি বকেয়া আছে তা অবিলম্বে দিতে হবে। ১০০ দিনের কাজ ফের চালু করতে হবে। পঞ্চায়েতে লুঠেরাদের রাজত্ব চলছে এই অভিযোগ তুলে বামেদের ঘোষণা, ওই লুঠেরার রাজত্বের অবসান ঘটিয়ে মানুষের পঞ্চায়েত গড়ে তুলতে হবে। সমস্ত নিয়োগ স্বচ্ছতার সাথে করতে হবে। এই দাবিতেই জাঠা কর্মসূচী চলবে।