রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মনিটরি পলিসি কমিটির তিন দিনের বৈঠক শেষ হল। বৃহস্পতিবার শীর্ষ ব্যাঙ্কের গভর্নর জানিয়ে দিলেন, রেপো, রিভার্স রেপো সহ অপরিবর্তিত থাকছে সব গুরুত্বপূর্ণ হার। একই থাকল রেট রেপো, রিভার্স রেপো একই রইল। ৪ মাস থমকে এসব হার। পরের মিটিং ৮-১০ আগস্ট। ভোটাভুটি এমপিসি সভায়।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ককে ২৪ ঘণ্টার মেয়াদে ঋণ দিলে যে সুদ পায়, সেটাই রেপো রেট। কোন সিকিউরিটি না রেখে ২৮ দিন পর্যন্ত মেয়াদে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক ঋণ নিলে সুদের হার বেশি হয়, তাকে বলে ব্যাঙ্ক রেট। বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির থেকে ঋণ নিলে আরবিআই যে হারে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ককে সুদ দেয়, তা-ই রিভার্স রেপো রেট।বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কের মোট জমার যে অংশ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে জমা রাখতে হয়, তা-ই সিআরআর। এই টাকার উপর কোনও সুদ পায় না বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক। বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিতে জমা টাকার যে অংশ নগদ, সোনা বা সরকারি সিকিউরিটিতে বাধতামূলক ভাবে রাখতে হয়, তা-ই এসএলআর।
থমকে রইল নানা হার
রেপো রেট ছিল ৬.৫০ শতাংশ, সেটাই থাকছে। স্ট্যন্ডিং ডিপোজিট ফেসিলিটি বা এসডিএফ থাকছে ৬.২৫ শতাংশ। ব্যাঙ্ক রেট রইল ৬.৭৫ শতাংশে। ক্যাশ রিজার্ভ রেশিও বা সিআরআর থেকে গেল ৪.৫০ শতাংশে। রিভার্স রেপো রেট ছিল ৩.৩৫ শতাংশ, তা-ই থাকছে। স্ট্যাচুটরি লিকুইডিটি রেশিও বা এসএলআর ১৮ শতাংশেই অপরিবর্তিত থাকছে।এসব রেট বা হার বাড়লে ব্যাঙ্কে সুদ বাড়ে, কমলে কমে। দু’হাজারি নোটের ফেরানোর তথ্যও দিলেন আরবিআই-এর গভর্নর।
ফিরেছে অর্ধেক নোট – শক্তিকান্ত
৩১ মার্চ ২০২৩ বাজারে ছিল ৩ লক্ষ ৬২ হাজার কোটি টাকার গোলাপি নোট। মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে এই নোট ফিরিয়ে নেবার ঘোষণা করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। ১৯ মে আরবিআই-এর সার্কুলার অনুযায়ী ফেরতের শেষ দিন ৩০ সেপ্টেম্বর। ইতিমধ্যেই ফিরেছে ১ লক্ষ ৮০ হাজার কোটি টাকার দু’হাজারি নোট। প্রায় অর্ধেক গোলাপি নোটের মধ্যেই ফিরেছে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায়। আর্থিক নীতি ঠিক করতে গিয়ে অবশ্য মতবিরোধ দেখা দেয় মনিটরি পলিসি কমিটিতে। শক্তিকান্ত দাস জানাচ্ছেন, শেষে ৫ বনাম ১ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। আরবিআইয়ের গুরুত্বপূর্ণ মনিটরি পলিসি কমিটির পরবর্তী বৈঠক বসবে আগস্ট মাসের ৮ থেকে ১০ তারিখ।