কলকাতা: রাজ্যে শুধু আটজন নতুন মন্ত্রী করা হল, তা নয়। ঘটানো হল ব্যাপক রদবদল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার বলেছিলেন, ছোটখাটো রদবদল হবে। দুই মন্ত্রীর মৃত্যু হওয়ায় তাঁদের দফতরগুলি ফাঁকা রয়েছে। পার্থদা জেলে থাকায় নতুন মন্ত্রী নিতে হবে। তাছাড়া কয়েকজনকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দলের কাজে লাগানো হবে।
কিন্তু বুধবার সরকারি স্তরে যে ঘোষণা করা হয়েছে, তাতে ব্যাপক অদলবদল করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য হল, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাতে থাকা শিল্প ও বাণিজ্য, পাবলিক এন্টারপ্রাইজ এবং শিল্প পুনর্গঠন দফতর দেওয়া হল শশী পাঁজাকে। তাঁর হাতে এখন রয়েছে নারী ও শিশু কল্যাণ এবং সমাজ কল্যাণ দফতর। বলা যায়, শশীর গুরুত্ব বেশ বাড়ল। ফিরহাদ হাকিমের হাতে ছিল পরিবহণ, আবাসন, পুর এবং নগর উন্নয়ন দফতর। তাঁর ভার বেশ লাঘব করা হয়েছে। আবাসন আবার ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে ক্রীড়া. যুব কল্যাণমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের হাতে। পরিবহণমন্ত্রী করা হল এদিন শপথ নেওয়া স্নেহাশিস চক্রবর্তীকে।
পুলক রায়ের হাতে আছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর। তিনি এখন পূর্ত দফতরও সামাল দেবেন। তাঁরও দায়িত্ব বাড়ল। মানস ভুঁইয়া জল সম্পদ অনুসন্ধানের পাশাপাশি পরিবেশ দফতরের দায়িত্বে নতুন এলেন। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় কৃষিমন্ত্রী ছিলেন। তাঁকে বাড়তি দেওয়া হল পার্থর হাতে থাকা পরিষদীয় দফতর।
দফতর বদল হয়েছে বিপ্লব মিত্রের। তাঁকে উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রী করা হয়েছে। এই দফতর ছিল সাধন পাণ্ডের হাতে। বিপ্লব মিত্রর কারা দফতরে স্বাধীন দায়িত্ব দিয়ে প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে অখিল গিরিকে। বেচারাম মান্নাকে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী করা হল। তাঁর আগের দফতরগুলি বহাল রাখা হয়েছে। ইন্দ্রনীল সেনকে কারিগরি শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে। এছাড়া তিনি তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের প্রতিমন্ত্রী তো আছেনই। বীরবাহা হাঁসদা স্বরোজগার, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রতিমন্ত্রী রয়েছেন। তিনি প্রতিমন্ত্রী বন দফতরেরও।
নতুনদের মধ্যে বাবুল সুপ্রিয় তথ্য প্রযুক্তি দফতরের পূর্ণমন্ত্রী। তাঁকে পর্যটন দফতরও দেওয়া হয়েছে। পার্থ ভৌমিককে সেচ ও জলপথ দফতরের পূর্ণমন্ত্রী করা হয়েছে। উদয়ন গুহ উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের পূ্র্ণমন্ত্রী। প্রদীপ মজুমদার হলেন পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের পূর্ণমন্ত্রী। বিপ্লব রায়চৌধুরী ফিশারিজ দফতরের প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন। এই দফতরের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন অখিল গিরি। তাজিমুল হোসেন এমএসএমই দফতরের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাবেন। সত্যজিত বর্মণকে করা হয়েছে স্কুলশিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রীর হাতে আগে যে দফতরগুলি ছিল, সেগুলিই রয়েছে। নবান্ন সূত্রের খবর, মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছেন সৌমেন মহাপাত্র, হুমায়ুন কবীর, রত্না দে নাগ, পরেশ অধিকারী।