মধ্যমগ্রাম: শাসনের সিপিএম পার্টি অফিসে (Party Office) তৃণমূল দুষ্কৃতীদের ভাঙচুরের প্রতিবাদে খড়িবাড়ি মধ্যমগ্রামে রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন চলল। টায়ার জ্বালিয়ে ও বাঁশের ব্যারিকেড করে রাস্তা অবরোধ করেন সিপিএম (CPIM) কর্মী সমর্থকরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে তৃণমূল (TMC) দুষ্কৃতীদেরকে গ্রেফতার করতে হবে, গ্রেফতার না করলে আন্দোলন চলবে। প্রায় ৪০ মিনিট অবরোধ চলে। তারপর মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ দুষ্কৃতীদেরকে গ্রেফতার করার পূর্ণ আশ্বাস দেন। তাঁর আশ্বাস পাওয়ার পরেই সিপিএম নেতৃত্বরা রাস্তা ছেড়ে দেন। এদিকে শাসকদলের দাবি, নিজেরাই ভাঙচুর করে তৃণমূলকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে সিপিএম।
দীর্ঘ ১২ বছর পর শাসনের মাটিতে গত মাসে লাল ঝাণ্ডা উড়েছিল। পুরনো পার্টি অফিস আবার রংচং করে পাটিকর্মীরা বসতে শুরু করেছিল পার্টি অফিসে। বুথ সভাপতি সহ ৪০০ জন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা সিপিএম যোগদান করেন। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই চিত্র শাসকদলের কাছে বেশ চিন্তার কারণ হয়ে ওঠে৷ এরপর গত শুক্রবার তৃণমূলের দুজন বুথ সভাপতি সহ আরও ২০০ তৃণমূল কর্মী সিপিএমে যোগদান করেন। তারপরেই ওদিন রাতে শাসনের সিপিএমের পার্টি অফিসে তৃণমূল দুষ্কৃতীরা হামলা করে বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন : Vande Bharat Express | নিউ জলপাইগুড়ি-গুয়াহাটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ট্রায়াল রান
সিপিএম কর্মীরা জানান,অফিসের দরজা জানালা, চেয়ার ভেঙে ফেলে হয়েছে, তৃণমূল দুষ্কৃতিদের গ্রেফতার না করা হলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন। সেই মতো তাঁরা শনিবার রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলনে শামিল হন।
উল্লেখ, বারাসাত ২ নম্বর ব্লকের শাসনে সিপিএম নেতা মজিদ মাস্টারের নামে বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খেত, এমনটাই প্রচলিত ছিল। ২০১১ সালে রাজ্যে পরিবর্তনের পর এলাকা ছাড়েন সেই মজিদ মাস্টার৷ রাজ্যের অধিকাংশ জায়গার মতো শাসনেও একচেটিয়া দাপট তৈরি তৃণমূল ৷ তবে শাসকদলের নেতা, কর্মীদের একাংশের দুর্নীতি এবং দুর্ব্যবহারের ফলে ফের লাল ঝান্ডার দিকেই ঝুঁকতে শুরু করেছেন শাসনের বাসিন্দাদের একাংশ৷