দৌসা (রাজস্থান): রাজস্থানে (Rajasthan) রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) সামনেই গেহলট-পাইলটপন্থীদের বিরোধ প্রকাশ্যে এল। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল এখন ভারত জোড়ো যাত্রা নিয়ে রাজস্থানের দৌসায় (Dousa)। দলীয় ঐক্যের ছবি তুলে ধরতে রবিবার মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট (CM Ashok Gehlot) এবং মন্ত্রী তথা বিধায়ক শচীন পাইলটকে (Sachin Pilot) দুপাশে নিয়ে পদযাত্রা করেন রাহুল। কিন্তু, আচমকাই সকলকে অবাক করে দিয়ে পাইলটপন্থীরা তাঁর নামে স্লোগান তোলে। তাতে প্রবল অস্বস্তিতে পড়ে যান সকলে। গত শুক্রবারই জয়পুরে পদযাত্রার ১০০-তম দিনে রাহুলে সাংবাদিক সম্মেলনে রাজস্থানের কংগ্রেসি ঐক্য নিয়ে গালভরা বক্তব্যের পর এদিনে ঘটনা কংগ্রেস জোড়ো ( Bharat Jodo Yatra) প্রয়াসেও জল ঢেলে দিল বলে অনেকে মনে করছেন।
পদযাত্রার শুরুতেই অশোক গেহলট এবং শচীন পাইলট রাহুলের সঙ্গে যোগ দেন। কিন্তু হঠাৎই কিছু কংগ্রেস সমর্থক দলের পতাকা নিয়ে স্লোগান দিতে শুরু করেন। তাঁরা বলতে থাকেন, শচীন পাইলট জিন্দাবাদ। হামারা সিএম ক্যায়সা হো, শচীন পাইলট জ্যায়সা হো। প্রসঙ্গত, দৌসা হল শচীন পাইলটের পারিবারিক গড়। তাঁরা বাবা রাজেশ পাইলট এই কেন্দ্র থেকেই পরপর পাঁচবার সংসদ সদস্য হিসেবে জয় পেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: CJI Chandrachud: পরিবারের অমতে বিয়ের জন্য প্রতিবছর কয়েকশো খুন হয়: প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়
রাজস্থানে বিধানসভা ভোটের আর বেশি দেরি নেই। কয়েক মাস আগে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের সময় অশোক গেহলট অনুগামীরা যখন হাইকমান্ডের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন, তখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে দাবিদার ছিলেন শচীন পাইলট। কিন্তু তাঁর দিকে ছিলেন মাত্র জনা দশেক বিধায়ক। গেহলট অনুগামীদের অনড় মনোভাবের কারণেই শেষমেশ হাইকমান্ডকে সভাপতি পদের প্রার্থী বদল করতে হয়। গেহলটই থেকে যান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সেই থেকে আজ পর্যন্ত রাহুলের পছন্দের লোক হওয়া সত্ত্বেও তিনি দাঁত ফোটাতে পারেননি।
সম্প্রতি, এক সাক্ষাৎকারে পাইলটকে বিশ্বাসঘাতক বলতেও রেয়াত করেননি গেহলট। পাইলটের পিছনে ১০ জনেরও কম বিধায়ক আছেন। যারা বিদ্রোহ করেছে, তারা বিশ্বাসঘাতক। উনি দলের সঙ্গে বেইমানি করেছেন। মানুষ তাঁকে কী করে বিশ্বাস করবে? এর জবাবে পাইলটের বক্তব্য, অপ্রয়োজনেই এসব কথা বলছেন গেহলট। অশোক গেহলটই একবার বলেছিলেন, গত দেড় বছর ধরে তাঁদের মধ্যে কোনও কথা হয়নি। কিন্তু, এদিন রাহুল গান্ধীর সামনে ঐক্য তুলে ধরতে গিয়ে বেকায়দায় পড়তে হয় দলকে।