বেঙ্গালুরু: কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণ (Oath) অনুষ্ঠানে বেঙ্গালুরুর কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে (Sri Kanteerava Stadium) কানায় কানায় পূর্ণ। প্রবীণ নেতা সিদ্দারামাইয়া (Siddaramaiah) ছাড়াও শপথ নিলেন উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ডিকে শিবকুমার (D. K. Shivakumar)। স্টেডিয়ামে হাজির রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, কমল নাথ, মল্লিকার্জুন খাড়্গে সহ কংগ্রেসের তাবড় নেতারা। উপস্থিত একঝাঁক বিরোধী নেতা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ন্যাশানাল কনফারেন্সের সভাপতি ফারুক আবদুল্লা, পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব, কংগ্রেস শাসিত চার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সহ আরও অনেকে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই শপথগ্রহণের মঞ্চ থেকেই লোকসভা ভোটের আগে বিরোধী ঐক্যের সলতে পাকানোর কাজ শুরু হয়ে গেল।
কর্নাট রাজ্যের দিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসলেন সিদ্দারামাইয়া। কর্নাটকের রাজ্যপাল থাবরচন্দ গহলৌতের কাছে উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি ডিকে শিবকুমারও। পাশাপাশি, শনিবার শপথ নিয়েছেন একাধিক পূর্ণমন্ত্রী। সেই তালিকায় উল্লেখযোগ্য নাম কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের ছেলে প্রিয়ঙ্ক। বিধায়কদের মধ্যে ১০ শতাংশ কংগ্রেস বিধায়ক বেঙ্গালুরুর। লিঙ্গায়েতস ও ভোক্কালিগা থেকে ৪৫ শতাংশ বিধায়ক রয়েছেন। লিঙ্গায়েতদের ৩৫ জন বিধায়ক রয়েছেন। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মন্ত্রিত্বের জন্য এদিন যে তালিকা অনুমোদন করা হয়েছে তাতে রয়েছে ড. জি পরমেশ্বর, শ্রী কেএইচ মুনিয়াপ্পা, শ্রী কেজে জর্জ, শ্রী এমবি পাতিল, শ্রী সতীশ জারকিহোলি, শ্রী প্রিয়াঙ্ক খাড়্গে, শ্রী রামালিঙ্গা রেড্ডি, শ্রী বিজে জামির আহমেদ খান। শনিবার শপথ অনুষ্ঠানে ওই ৮ জন বিধায়ক মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন। শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠান থেকে ঐক্যের বার্তা দিযেছেন সিদ্দা ও শিবকুমার।
কর্ণাটকে বিপুল জয় পেয়েছে কংগ্রেস।তারা নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। কার্যতই মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি। কিন্তু জয়ের পরও মুখ্যমন্ত্রীর কুরসি নিয়ে তিন থেকে চারদিন ধরে টানাপোড়েন চলে। দিল্লিতে ১০ নমেবর জনপদে চলে রাহুলের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকও। তারও পরও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় ছিল শিবকুমার। সিদ্দারামাইয়ার দিকে সংখ্যাগুরু বিধায়কের সমর্থন থাকলেও শিবকুমারও এই দৌড়ে মোটেই পিছিয়ে ছিলেন না। কারণ, তিনি জনতা দল ভেঙে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া নেতা। এরপর আসরে নামতে হয় খোদ সনিয়া গান্ধীকে। সনিয়ার সঙ্গে আলোচনার পর কংগ্রেসের স্বার্থে আত্মত্যাগে রাজি হলেন শিবকুমার।