তমলুক: রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা (Minister Shashi Panja) এবং তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র কুণাল ঘোষের TMC Spokes person Kunal Ghosh) নামে মামলা করলেন শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) ভাই সৌমেন্দু অধিকারী (Soumendu Adhikari)। এর আগে তাঁদের কাছে উকিলের নোটিস (Notice) পাঠিয়ে বলা হয়েছিল, তাঁর দাদার সম্পর্কে ওই দুজন অসম্মানজনক মন্তব্য করেছেন। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা (Apology) না চাইলে মামলা করা হবে।
সেই সময়সীমা শেষ হওয়ায় বুধবার কাঁথি আদালতে (Kathi Court) আইনজীবীর মাধ্যমে সৌমেন্দু মামলা করেন শশী এবং কুণালের বিরুদ্ধে। এদিন আদালতে দাঁড়িয়ে সৌমেন্দু বলেন, আমার দাদা এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Leader of the Opposition) সম্পর্কে অসম্মানজনক মন্তব্য করেছেন মন্ত্রী শশী পাঁজা এবং তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার জন্য নোটিস দেওয়া হয়েছিল। তাঁরা ক্ষমা চাননি, কোনও জবাবও দেননি। তাই মামলা করা হল। সৌমেন্দুর আইনজীবী অনির্বাণ চক্রবর্তী জানান, কাঁথি দেওয়ানি আদালতে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মন্ত্রী শশী পাঁজা, তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এবং জাগো বাংলা পত্রিকার সম্পাদকের নামে মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Sharad Pawar | বিরোধীদের জরুরি বৈঠক ডাকলেন পাওয়ার, তৃণমূল কি আমন্ত্রণ পেল?
সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে সারা রাজ্যে বহু গ্রুপ সি শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়। তার মধ্যে শুধু পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতেই ৪৫৫ জনের চাকরি বাতিল হয়েছে। কাঁথি ও এগরা মহকুমায় ৫৫ জনের চাকরি যায়। ১৩ মার্চ তৃণমূলের মুখপত্রের প্রথম পাতায় গ্রেফতার চাই শুভেন্দু অধিকারীর, এই শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তাতে এবং কুণাল ঘোষের ফেসবুক লাইভে শুভেন্দুর মানহানি হয়েছে বলে অভিযোগ। এরপর আইনজীবীর মাধ্যমে কুণালকে আইনি নোটিস পাঠানো হয়। তৃণমূলের মুখপত্রের কর্তৃপক্ষকেও নোটিস পাঠিয়ে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলা হয়।
এদিকে ১৫ মার্চ কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠক করে মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, শুভেন্দুর সুপারিশে কাঁথি এবং এগরার ৫৫ জনের চাকরি হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে নাম ছিল সঞ্জীব সুকুলের। তিনি বিরোধী নেতার অত্যন্ত কাছের লোক। সৌমেন্দু দাবি, মন্ত্রীর এই অভিযোগ অসত্য। তিনি বলেন, মন্ত্রীকে প্রমাণ করতে হবে, সঞ্জীব বিরোধী নেতার কাছের লোক। না হলে তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে। তাঁকেও আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছিল। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা না চাওয়ায় শশীর বিরুদ্ধেও মামলা করলেন সৌমেন্দু। এ ব্যাপারে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। প্রতিক্রিয়া দেননি শশী এবং কুণালও।