আজ দিনটা বাংলার গর্বের। আর তিনি তো বাঙালির গর্ব। রেড রোডের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে তাঁকে দেখা যাবে না তা কি হয়? তা হয়ওনি। মঞ্চের আর পাঁচজন অতিথিকে পাশ কাটিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে এসে বসলেন বাংলার মহারাজ।
গালে খোঁচা দাড়ি। রিমলেস চশমা। ফুলহাতা চেক জামাটা ইন করা। রেড রোডের পুরো ফোকাস যেন হঠাৎই কেড়ে নিলেন দু’জন। দিদির সঙ্গে তখন হালকা চালে কথা বলছেন দাদা। দুজনের মুখেই স্মিত হাসি। আজ তো কোনও রাজনৈতিক মঞ্চ ছিল না। ছিল বাংলার গর্ব বিশ্বের সামনে তুলে ধরার দিন।
বেশ কিছুক্ষণ তাঁদের মধ্যে কথাও হল। নিজের বক্তব্য পেশ করতে উঠে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, মা সকলের মুখে হাসি ফোঁটায়। আমি বিশ্বের নানা প্রান্তে ঘুরেছি। যীশু খ্রিষ্টের জন্মোৎসব পালন দেখেছি। তাও বলব, দুর্গা পুজোর এই পাঁচ দিন সব কিছুর থেকে আলাদা।
মঞ্চে তখন ইউনেস্কো-র প্রতিনিধি দল। তাঁদের দিকে তাকিয়ে মহারাজকীয় বার্তা, এখানে থাকতে হবে। দেখতে হবে দুর্গা পুজো। উপলব্ধি করতে পারবেন তখনই। দেখতে পাবেন দুর্গা পুজো কত বড়।
আজ দিনটা বাংলার গর্বের। সেই কথা মনে করিয়ে সৌরভ বললেন, ফ্রান্সের সঙ্গে কলকাতার একটা অদ্ভুত মিল আছে। ফুটবলের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র ফ্রান্স। আর কলকাতার মানুষের হৃদয়ে ফুটবল। সৌরভের কথায়, আমি অল্পস্বল্প ক্রিকেট খেলেছি। কিন্তু ফুটবলকে আমি অন্তর থেকে ভালোবাসি। সৌরভ কৃতিত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও।