কলকাতা: আদালত অবমাননার জন্য এজলাসে দাঁড়িয়ে ক্ষমা চাইলেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার (SSC Chairman Siddharth Mazumdar)। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে (High Court) তাঁর যুক্তি, আদালতের নির্দেশ ব্যাখ্যা করতে কমিশনের ভুল হয়েছে।
এর আগে আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও ২০১১ সালের টেট প্রার্থীদের (TET candidates) ভুল ও সিলেবাসের বাইরের প্রশ্নের জন্য বাড়তি নম্বর না দেওয়ায় কমিশনকে চরম ভর্ৎসনা করে হাইকোর্ট। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ ছিল, চেযারম্যানকে শুক্রবার এজলাসে হাজির হয়ে কারণ দর্শাতে হবে। সেই মতো এদিন এসএসসি চেয়ারম্যান হাজিরা দেন।
এদিন চেয়ারম্যান আদালতে জানান, ইংরেজি, শিশু কল্যাণ এবং শিক্ষা বিজ্ঞান বিভাগের খাতা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের দিয়ে খতিয়ে দেখা হয়েছে। সেই রির্পোট বৃহস্পতিবার রাতে কমিশনের হাতে এসেছে। তার সবটা খুঁটিয়ে দেখা হয়নি, এর জন্য শুক্রবার পর্যন্ত সময় দেওয়া হোক।
চেয়ারম্যান আদালতে আরও জানান, বাতিল হওয়া শূন্য পদে নিয়োগের জন্য ৮৩ জনের মধ্যে ৬৩ জনের পার্সোনালিটি টেস্ট বা ইন্টারভিউ হয়ে গিয়েছে। ৪৩ জনের ক্ষেত্রে সুপারিশপত্র দেওয়ার প্রস্তুতিও চলছে। মামলকারীদের মধ্যে ৩ জনের আবেদন নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তাদের জমা দেওয়া বুকলেট সিরিজ এবং ওএমআরশিট নিয়ে প্রশ্ন আছে। তাদের এসএসসির আইনজীবীর অফিসে গিয়ে আগামী সপ্তাহে সেই সমস্যা মেটাতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন:Recruitment Scam | অয়নের আরও ১০টি অ্যাকাউন্টের হদিশ পেল ইডি
প্রসঙ্গত, আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ২০১১ সালের টেট প্রার্থীদের ভুল ও সিলেবাসের বাইরের প্রশ্নের জন্য নম্বর না দেওয়ায় এসএসসিকে চরম ভর্ৎসনা করেছিল হাইকোর্ট। ওই মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি মান্থা বলেছিলেন, আপনারা কোর্টের সঙ্গে খেলছেন। এসএসসি নিয়োগ করছে, অথচ তারাই ভুল প্রশ্ন করছে। সব পরিকল্পিত। এসএসসি চেয়ারম্যান যে হলফনামা রির্পোট দিয়েছে তা আদালত গ্রহণ করছে না। সিলেবাসের বাইরের প্রশ্নে নম্বর দেওয়া হবে না বলে কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের যুক্তি, তাহলে সবাইকে বাড়তি নম্বর দিতে হবে। বিচারপতি বলেন, সবাইকে নম্বর দিতে বলা হয়নি। শুধু মামলাকারী ৮৩ জনকে বাড়িত নম্বর দিতে বলা হয়েছিল।
আগের দিন শুনানিতে কমিশনের আইনজীবীকে বলেন, আমার বলতে দ্বিধা নেই, এসএসসি একটা প্রজন্মের ভবিষ্যত নিয়ে খেলছে। আদালতের সঙ্গে লুকোচুরি খেলার চেষ্টা করবেন না। আগামী শুক্রবার কমিশনের চেয়ারম্যানকে নতুন রিপোর্ট নিয়ে হাজির হতে হবে। আদালতের নির্দেশ মেনেই এদিন নতুন রির্পোট সমেত হাজিরা দিনে কমিশনের চেয়ারম্যান।