শারীরিক ভাবে তিনি খুব অসুস্থ। আর বেশি দিন জেলে থাকলে পরিস্থিতি খুব খারাপ হতে পারে। জীবনহানীও পর্যন্ত ঘটতে পারে। তাই তাঁকে জামিন দেওয়া উচিত।– এ ভাবেই তাঁর মক্কেল পার্থ চট্টোপাধ্যায় হয়ে জামিনের আবেদন জানালেন তাঁর আইনজীবী। আদালতে ভার্চুয়াল শুনানিতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীও বলেন, ‘‘আমি যেকোনও মূল্যে জামিন চাইছি।’’ তাঁর কথায়, ‘‘আমি অসুস্থ। আমি প্রভাবশালীও নেই। কোনও পদ নেই আমার। দরকারে বাড়িতে নজরবন্দি করে রাখুন।’’ পার্থের আর্জি, তাঁর চিকিৎসা দরকার বাড়িতে থেকে সেই চিকিৎসা চলুক।
পার্থর জামিনের আবেদনের বিরুদ্ধে ইডির যুক্তির পাল্টা তাঁর আইনজীবীরা বললেন, উনি ৪২ দিন ধরে হেফাজতে রয়েছেন। ওঁর শারীরিক সমস্যার জন্য রোজ ১৭টি করে ওষুধ খেতে হয়। তা ছাড়া উনি কোনও সরকারি পদেও নেই। এর পরই ইডির আইনজীবী বলেন, আরও ২৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট পাওয়া গিয়েছে। অন্তত ১০০টি অ্যাকাউন্ট এখনও আতশকাচের তলায়। ওই সব ভুয়ো সংস্থায় ‘ডামি ডিরেক্টর’ তৈরি করা হত। ওই পদের জন্য তাঁদের ১৫ হাজার টাকা দেওয়া হত।
যদিও এই সব দাবি অস্বীকার করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর আইনজীবী। পার্থ দাবি করেন, ‘‘যে ফার্ম হাউসের কথা বলা হচ্ছে, তাতে আমার নামে কিছু নেই। অছি হিসাবে আমার কোনও পরিবারের সদস্যেরও নাম নেই। পরিবারের সদস্য বলতে এক জনই। তিনি বিবাহিত এবং আমেরিকায় থাকেন।’’ যদিও এ দিন অর্পিতার আইনজীবী জানিয়েছেন, তিনি জামিন চান না। তবে পার্থের মতো অর্পিতারও আদালতে সশরীরে হাজিরার অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।