কলকাতা: গত ১০ মার্চ মাসে বকেয়া ডিএ-র দাবিতে (Demand of DA) সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ডাকা ধর্মঘটে (Strike) শামিল হয়েছিলেন বিভিন্ন সরকারি দফতরের কর্মী (Government Employees) থেকে শুরু করে বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা। তার আগে রাজ্য সরকার ওই দিন কোনও ছুটি নেওয়া যাবে না বলে নির্দেশিকাও জারি করেছিল। এমনকি সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল ওইদিন অনুপস্থিত থাকলে চাকরিতে একদিনের জন্য ছেদ পড়ে যাবে। সেই নির্দেশ অমান্য করেই বহু সরকারি কর্মচারী ওইদিন ধর্মঘটে (Strike) অংশ নেন। এবার তাঁদের শোকজ নোটিস (Showcause Notice) পাঠাতে শুরু করেছে সরকার।
শোকজ নোটিসে (Showcause Notice) লেখা রয়েছে, তা পাওয়ার পর সাত দিনের মধ্যে তার জবাব দিতে হবে। যদি সাত দিনের মধ্যে জবাব না পাওয়া যায়, তাহলে সরকার ধরে নেবে, ধর্মঘটে অংশ নেওয়া কর্মচারীদের বলার কিছু নেই। আইন মোতাবেক তাঁদের বিরুদ্ধে সরকার কড়া পদক্ষেপ করবে। শুধু তাই নয়, শোকজ নোটিসের জবাব সন্তোষজনক না হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই অনেকের কাছে নোটিস পৌঁছে গিয়েছে। যৌথ মঞ্চের নেতারা অবশ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা-কর্মচারীদের এর জন্য ভয় পেতে নিষেধ করেছেন। তাঁরা বলেছেন, এ ব্যাপারে আইনি পথে যাওয়া হবে। তার জন্য আইনজীবীদের সঙ্গে কথাবার্তাও বলা হচ্ছে। আইনজীবীদের একাংশের দাবি, ধর্মঘট করা কর্মচারীদের অধিকারের মধ্যে পড়ে। ধর্মঘটে অংশ নিলে কোনও সরকারই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে না।
আরও পড়ুন: Shashi Panja, Kunal Ghosh: শশী, কুণালের বিরুদ্ধে কাঁথি আদালতে মামলা সৌমেন্দুর
এদিকে বুধবারই ধর্মঘটের (Strike) দিন স্কুলে না আসায় উত্তর দিনাজপুরে (North Dinajpur) ৪৯৭ জন প্রাথমিক শিক্ষককে শোকজ নোটিস (Showcause Notice) দিয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। তালিকায় নাম রয়েছে জেলার একাধিক স্কুলের শিক্ষকদের। শিক্ষকেরা শোকজ নোটিসের জবাবও দিতে শুরু করেছেন। সেই জবাবে প্রশাসন সন্তুষ্ট না হলে আগামীদিনে সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী শিক্ষকদের একদিনের কর্মদিবস বাতিল ও বেতন কাটা হবে বলে জেলা শিক্ষা দফতরের তরফে জানানো হয়েছে।
যৌথ মঞ্চের দাবি, ১০ মার্চের ধর্মঘট সর্বাত্মক হয়েছে বলে সরকার ভয় পেয়েছে। মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, সরকারি হুমকির পরোয়া না করেই দলে দলে কর্মচারীরা ওইদিনের ধর্মঘটে অংশ নিয়েছেন। এখন সরকার দমনপীড়ন চালানোর চেষ্টা করছে। তাতে কোনও লাভ হবে না।
মঙ্গলবার সুপ্রিমকোর্টে ডিএ মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শুনানি হয়নি। পরবর্তী শুনানি ১১ এপ্রিল হতে পারে। সেদিনও শুনানি হবে কি না সে ব্যাপারে অবশ্য মঙ্গলবারই সংশয় প্রকাশ করেন খোদ বিচারপতিই। মঞ্চের নেতারা জানান, আদালতের উপর তাঁদের সম্পূর্ণ আস্থা আছে। আন্দোলন চলবে। প্রয়োজনে তাঁরা লাগাতার ধর্মঘটের পথেও যাবেন।