মুম্বই: শেয়ার বাজার (Share Market) বৃদ্ধির পথে? উত্থান পতনের আঁকাবাঁকা পথে ভারতের শেয়ার বাজার। ফেলে আসা সপ্তাহে আশা জাগিয়েও কিছুটা পিছিয়েই শেষ করেছে দালাল স্ট্রিট (Dalal Street)। তবে ইক্যুইটি বাজারে বিদেশি পুঁজি ফেরার লক্ষণ এবং শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) কমিটি আদানিদের ক্লিন চিট দেওয়াতে বাজারে আসতে পারে নতুন প্রাণ। গত দুই-তিন বছরে ব্যাঙ্কের (Bank) সুদ তলানিতে পৌঁছেছিল। মূল্যবৃদ্ধি ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (Reserve Bank of India) পদক্ষেপের ফলে ইদানীং সুদ খানিকটা বেড়েছে। মূল্যবৃদ্ধির তুলনায় ফিক্সড ডিপোজিটের সুদ সামান্য বেশি হওয়ায় ব্যাঙ্কে জমা রেখে টাকা কমে যাওয়ার আশঙ্কা এখন নেই। অনেকেই ব্যাঙ্ক বা ক্ষুদ্র সঞ্চয়ে লগ্নি করছেন। এতে শেয়ার বাজারে কিছুটা ধাক্কা হয়তো লেগেছে। ইতিমধেই এল আদানিদের ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত কমিটির রিপোর্ট।
এ বছরের ২৪ জানুয়ারি মার্কিন সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ আদানিদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আনে। এর ফলে আদানিদের কোম্পানিগুলির শেয়ার দর পড়ে যায় রকেট গতিতে। মামলা সুপ্রিম কোর্টে গড়ালে আদালত ছয় সদস্যের কমিটি গড়ে। কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এম সপ্রু, রয়েছেন বোম্বে হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জে পি দাভাদার, আছেন স্টেট ব্যাঙ্কের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও পি ভট্ট, ইনফোসিস-এর প্রতিষ্ঠাতা নন্দন নিলেকনি, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের প্রাক্তন কর্তা কে বি কামাথ এবং আইনজীবী সোমশেখর সুন্দরেশন। কমিটির প্রাথমিক রিপোর্টে আদানিদের ক্লিন চিট দেওয়ার পাশপাশি সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া বা সেবিরও দোষ খুঁজে পাওয়া যায়নি। সেবি নিজেরাও স্বাধীন ভাবে তদন্ত চালাচ্ছে। চলতি মাসে তাদের রিপোর্ট শীর্ষ আদালতে জমা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তারা সময়সীমা বাড়াবার আবেদন জানায়। সময়সীমা ১৪ আগস্ট পর্যন্ত বাড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আদানিদের ৯টি বড় কোম্পানির সবকটিই ভালো বৃদ্ধি পেয়েছে শুক্রবার। পাশাপাশি ইক্যুইটি বাজারে আসছে বিদেশি পুঁজিও। মে মাসে ইক্যুইটি বাজারে ঢুকেছে ১৭ হাজার ৩৭৬ কোটি টাকার বিদেশি বিনিয়োগ। এই নিয়ে পরপর তিন মাসে ইক্যুইটি মার্কেটে এল বাড়তি বিদেশি লগ্নি। যদিও চলতি মাসে শেয়ার বাজারের অপর শাখা ডেরিভেটিভ মার্কেট থেকে বেরিয়ে গিয়েছে ভালো পরিমাণ ভিনদেশি লগ্নি।
আরও পড়ুন: Kuntal Ghosh | অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদের পর কুন্তলকে জেরা করতে চায় সিবিআই
জুন মাসের ৬ থেকে ৮ তারিখ বসছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গুরুত্বপূর্ণ মনিটরি পলিসি কমিটির বৈঠক। মূল্যবৃদ্ধির বর্তমান অবস্থায় রেপো বা রিভার্স রেপো রেট অপরিবর্তিত থাকতে পারে, এমনকী ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমতেও পারে। এই পরিস্থিতিতে শেয়ার বাজার কিছুটা উত্থানের পথ ধরতে পারে ২২ মে সোমবার শুরু হওয়া সপ্তাহে।