রাজস্থান: কোটায় (Kota) ফের আত্মহত্যা ছাত্রের। পুলিশ সূত্রের খবর, ২০ বছর বয়সী মোহাম্মদ তানভীরকে তার ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। এই বছর কোচিং হাবে মোট আত্মহত্যার সংখ্যা ২৭ । দিনের পর দিন পড়ার চাপ সামলাতে না পেরে মানসিক অবসাদে আত্মহ্যাতর পথ বেছে নিচ্ছে ছাত্রছাত্রীরা। অথচ সেখানকার ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ডাক্তারি প্রবেশিকার কোচিং সেন্টারগুলি নিরুত্তাপ। এই বিষয়ে কড়া সরকারি পদক্ষেপেরও দাবি উঠছে।
রাজস্থানের (Rajasthan) ওই শহরে বুধবার উচ্চাশার বলি হয়েছে আরও এক ছাত্র। NEET পরীক্ষার প্রবেশিকার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা ওই পড়ুয়া। বৃহস্পতিবার তার দেহ উদ্ধার হয়েছে। তানভীর মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য জাতীয় যোগ্যতা-কাম-প্রবেশ পরীক্ষার (NEET) প্রস্তুতি নিচ্ছিল, পুলিশ জানিয়েছে। বাবা ও বোনের সঙ্গে থাকতেন। তার বাবা একজন কোচে শিক্ষক হিসেবে কাজ করতেন।
আরও পড়ুন: আধারের তথ্য চুরি রুখতে চিঠি দিল কলকাতা পুলিশ
এই নিয়ে গত ৮ মাসে ২৭ জন পড়ুয়া আত্মহত্যা করল কোটায়। গত কয়েক মাসে আত্মহত্যার ক্ষেত্রে উদ্বেগজনক ঊর্ধ্বগতি স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। কোটার কোচিং সেন্টারগুলির কথা মাথায় রেখে বিশেষ আইন আনার কথা ভাবছে রাজস্থান সরকার। কর্তৃপক্ষ সিলিং ফ্যানে অ্যান্টি-হ্যাঙ্গিং ডিভাইস ইনস্টল করা বাধ্যতামূলক করেছে এবং কোচিং ইনস্টিটিউটগুলিকে দুই মাসের জন্য কোনও পরীক্ষা নেওয়া থেকে বিরত থাকার নির্দেশ জারি করেছে। এছাড়াও, কোটা পুলিশ ওয়ার্ডেন, মেস কর্মী এবং টিফিন পরিষেবা প্রদানকারী সহ হোস্টেলে থাকা কর্মীদের মধ্যে হস্টেল এবং পিজি আবাসনে থাকা শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা বা মানসিক চাপের কোনও লক্ষণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। জেলা কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের জন্য একটি প্রশ্নপত্র তৈরি করেছে, যা নিশ্চিত করবে যে শিক্ষার্থীরা বিষণ্নতার সঙ্গে লড়াই করছে কি না। এই পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর নির্ধারণ করবে কোন ছাত্র-ছাত্রী হতাশা, উদ্বেগ ও মানসিক চাপের শিকার।
আরও অন্য খবর দেখুন