নয়াদিল্লি: কলেজিয়ামের (Collegium) সুপারিশ সত্ত্বেও সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) এবং হাইকোর্টগুলিতে বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে কেন্দ্র যে গড়িমসি করছে, তা নিয়ে ক্ষুব্ধ দেশের শীর্ষ আদালত। বিচারপতি নিয়োগে কেন দেরি হচ্ছে, গত শুক্রবার (১১ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় আইন সচিবের (Union Law Secretary) কাছে তার জবাব চেয়েছে দেশের আদালত। সুপ্রিম কোর্ট আরও বলেছে, আপাতত কোনও রকম অবমাননার নোটিস জারি করা হচ্ছে না, কিন্তু আইন মন্ত্রকের বিরুদ্ধে সাধারণ নোটিস জারি করা হচ্ছে। দেশের শীর্ষ আদালতের অভিযোগ, কেন্দ্র ইচ্ছাকৃতভাবে দেরি করছে। সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য, নাম সুপারিশ করার চার সপ্তাহের মধ্য নিয়োগ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়ে যাওয়া উচিত।
বিচারপতি সঞ্জয় কিষণ কউল (Sanjay Kishan Kaul) এবং অভয় এস ওকা (Abhay S Oka)-র বেঞ্চ বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং এ বিষয়ে বলেছেন, ন্যায়বিচার যেখানে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, সেখানে নাম স্থগিত রাখা কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। কেন্দ্রের অনুমোদন না আসার কারণে ১১টি নাম মুলতুবি হয়ে পড়ে রয়েছে। এর মধ্যে যেটি সবচেয়ে পুরনো, সেটি ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: Theft From Police Station: যোগীরাজ্যে থানা থেকেই চুরি অস্ত্র, উর্দি!
বিচারপতিদের বেঞ্চ আরও বলেছে, বিচারপতি নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে যে সমস্ত নামের ক্ষেত্রে পুনর্বিবেচনা চাওয়া হয়েছে, সেখানে দ্বিতীয়বার পুনরাবৃত্তি সত্ত্বেও সরকার নামগুলি খালি করেনি এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। বেঙ্গালুরুর অ্যাডভোকেট অ্যাসোসিয়েশনের হয়ে সিনিয়র আইনজীবী বিকাশ সিং (Vikas Singh) দেশের শীর্ষ আদালতকে সিনিয়র অফিসারদের বিরুদ্ধে অবমাননার প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য আর্জি জানিয়েছেন। কারণ, বম্বে হাইকোর্টের (Bombay High Court) বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তকে (Justice Dipankar Dutta) সুপ্রিম কোর্টে উত্তীর্ণ করার জন্য সুপারিশ করা হলেও, তা মুলতুবি রাখা হয়েছে। আইনজীবী বিকাশ সিংয়ের বক্তব্য, পাঁচ সপ্তাহ হয়ে গেল বিচারপতি দত্ত’র নাম সুপারিশ করা হয়েছে, অথচ নিয়োগ কয়েক দিনের মধ্যেই হয়ে যাওয়া উচিত। নিয়োগ না করে ঝুলিয়ে রাখা কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
বিচারপতিদের বেঞ্চের বক্তব্য হলো, কেন্দ্র সুপারিশ পাওয়ার পরও নিয়োগ করেনি, আবার নাম সংরক্ষণেরও অনুরোধ জানায়নি। সরকারের কাছে ১০টি নাম মুলতুবি রয়েছে, যা সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম (Supreme Court Collegium) দ্বারা পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্টে বিচারপতি নিয়োগ না হওয়ার কারণে ন্যায়বিচার ভুক্তভোগী হচ্ছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে কেন এই দেরি, তার জবাব চেয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সাধারণ নোটিস জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট।