নয়াদিল্লি: কারও আঘাতে জখম হয়ে কিছু দিন পড়ে থাকার পর মৃত্যু হলে আঘাতকারী খুনের অভিযোগ থেকে নিস্তার পেতে পারে না। ছত্তিশগঢ় হাইকোর্টের (Chhattisgarh High Court) রায় বহাল রেখে এমনটাই জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।
দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, আক্রমণে জখম কোনও ব্যক্তির মৃত্যু বেশ কিছু দিন পর হলেও অভিযুক্তের দোষের পরিমাণ কিছু কম হতে পারে না। খুনের অভিযোগে তারও বিচার হবে। সেই অভিযুক্তের নিস্তার পাওয়ার কোনও জায়গা নেই। বিচারপতি কৃষ্ণ মুরারী এবং বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাটের সাংবিধানিক বেঞ্চ এই বিষয়ে বলেন, মৃত্যু কীভাবে আসবে, তার কোনও নির্দিষ্ট ফর্মুলা নেই। একটি আঘাতে জখম কোনও ব্যক্তির ঘটনার কয়েক দিন বা অনেক দিন পরেও মৃত্যু হতে পারে। সেক্ষেত্রে আঘাতের প্রতিঘাত কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটা বিবেচনা করে দেখতে হবে। মৃত্যু ঘটাতে সেই আঘা্ত কতটা দায়ী, দেখতে হবে তাও। একটি নির্দিষ্ট মামলার সূত্র ধরে আদালত বলে, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে (Post Mortem Report) কার্ডিও রেসপিরেটরি ফেলিওরের কারণে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছিল। তার পিছনে দায়ী সেই আঘাত।
ওই ঘটনায় অভিযুক্তদের আইনজীবীর দাবি ছিল, ভুক্তভোগী ঘটনার ২০ দিন পরে মারা গিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবে এটা বোঝা যাচ্ছে, জখম হওয়ার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়নি। ছত্তিশগঢ় হাইকোর্টের রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই আবেদনকারী।
২০১২ সালে একটি জমি বিবাদকে (Land Dispute) ঘিরে ওই ঘটনা ঘটে। ওই ব্যক্তির মৃত্যুর পর মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়, আবেদনকারীরা ওই ব্যক্তিকে কুড়ুল দিয়ে আঘাত করে। ভুক্তভোগীর হাতে প্রতিরোধ করার মতো কিছু ছিল না। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে ওই ব্যক্তির দেহে অনেক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সেই আঘাতের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ (Observation of Supreme Court), নিছক ঝগড়ার কারণে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে আদালত মনে করে না। বাড়িতে ঢুকে তাঁকে মারা হয়েছে। সেই আঘাতের কারণেই মৃত্যু হয়। কবে মৃত্যু হল, সেটা বিচার্য বিষয় নয়।