কাতার: দালিল আরমানির জন্ম মরক্কোয় (Morocco), কর্মসূত্রে পর্তুগালের (Portugal) বাসিন্দা। পেশায় রাঁধুনি আরমানি ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর (Cristiano Ronaldo) ভক্ত। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালে মরক্কো যখন রোনাল্ডোর দেশের মুখোমুখি হয়, তখন বিনা দ্বিধায় মরক্কোর জার্সি পরে নিয়েছেন আরমানি। তিনি বলছেন, আমি একজন মরোক্কান। কোথায় বাস করছি সেটা বড় কথা নয়, আমি সবসময় আমার দেশকেই সমর্থন করব।
হাকিম জিয়েশ (Hakim Ziyech), আশরাফ হাকিমিরা (Achraf Hakimi) নক আউট পর্যায়ে উঠতেই আর দেরি করেননি আরমানি। ম্যাচের টিকিট কিনে পাড়ি দিয়েছেন কাতারে (Qatar)। আরমানি একা নয়, এমন হাজার হাজার মরক্কান এক সোনালি স্বপ্ন বুকে নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের (Middle East) দেশটিতে হাজির হচ্ছেন। কাতারে এমনিতেই প্রায় ৪০ হাজার মরক্কানের বাস। আরও ৪০ হাজার সমর্থক বিমানে, গাড়িতে হাজির হচ্ছেন। কাতারের বুকে সৃষ্টি হচ্ছে মিনি-মরক্কো।
আরও পড়ুন: Qatar World Cup: মেসির জেদের কাছে হার মানল ফিফা! বিশ্বকাপ থেকে বিদায় বিতর্কিত রেফারির
শুধু মরক্কো নয়, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে তাদের সমর্থকরা কাতারে জড়ো হচ্ছেন। গত শতাব্দীর সাত এবং আটের দশকে উত্তর আফ্রিকার দেশটির পরিস্থিতি খুব একটা ভাল ছিল না। অর্থনৈতিক অচলাবস্থা তো ছিলই, সেই সঙ্গে রাজনৈতিক অস্থিরতাও বড় কম ছিল না। মরক্কোর বহু মানুষ দেশ ছেড়ে ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্যে গিয়ে বসবাস করেন।
SCENES IN RABAT. As Morocco become the first African team to reach the World Cup semifinals, fans flood the street to celebrate this incredible team. Looks like a North African Philadelphia. ?????? pic.twitter.com/LadNGJ9ReZ
— Men in Blazers (@MenInBlazers) December 10, 2022
মরক্কোর জাতীয় দলের সবথেকে বড় দুই তারকা হাকিম জিয়েশ এবং আশরাফ হাকিমিও পরিযায়ী মরক্কান। জিয়েশের জন্ম নেদারল্যান্ডসের (Netherlands) দ্রোন্তেনে, হাকিমির স্পেনের মাদ্রিদে (Madrid)। তাঁদের কোচ ওয়ালিদ রেগরাগুই (Walid Regragui) থাকেন প্যারিসের (Paris) শহরতলিতে। প্লেয়ারদের মতোই এমন লক্ষ লক্ষ মরক্কোর নাগরিক গোটা পৃথিবীতে ছড়িয়ে আছেন। বিশ্বকাপের মঞ্চে দেশের অভাবনীয় সাফল্যে আনন্দিত, উল্লসিত তারা। স্বপ্ন দেখছেন তাঁরা, বিশ্বজয়ের স্বপ্ন। আপাতদৃষ্টিতে বাড়াবাড়ি মনে হলেও এই বিশ্বকাপ তো অঘটনের। কিছুই অসম্ভব নয়। তাই মোটা খরচের ধাক্কা সত্ত্বেও মরক্কোর সমর্থকরা পাড়ি দিয়েছেন কাতারে।