আইন হাতে তুলে নেওয়ার আরও একটি নির্মম উদাহরণ হয়ে থাকল মুর্শিদাবাদের ভরতপুর। আর এক্ষেত্রে অভিযোগের আঙুল উঠল শাসক দল তৃণমূলের দিকে। গত মঙ্গলবার বিজেপির নবান্ন অভিযানে পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষের পর তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব কড়া ভাষায় বিরোধী দলকে আক্রমণ করেন। অথচ শনিবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ভরতপুর থানার মাঠ ঘেরা নিয়ে রাস্তা অবরোধ থেকে থানার গেট ভেঙে তাণ্ডব চালানোর যে ছবি সামনে এল তাতে পাল্টা শাসক শিবিরকে বিঁধতে পারে বিরোধীরা।
ঘটনার শুরু বিশ্বকর্মা পুজোর বিকাল থেকেই। বেশ কিছুদিন আগে থেকেই মুর্শিদাবাদের ভরতপুরে থানার লাগোয়া মাঠটিকে ঘিরে নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল পুলিশ-প্রশাসনের। এদিন সে কাজ শুরু করার জন্য জেসিবি মেশিন নিয়ে স্থানীয় পুর প্রশাসনের সহায়তায় ওই এলাকায় মাটি তোলা চালু হতেই তেড়ে আসেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। তাঁদের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি নজরুল ইসলাম। স্থানীয় পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে তর্কেও জড়িয়ে পড়েন তিনি। থানার সংলগ্ন মাঠ যে কোনওভাবেই ঘিরতে দেওয়া হবে না তা তর্কাতর্কির সময় হুঁশিয়ারির সুরে বলতে শোনা যায় ব্লক সভাপতি নজরুল ইসলামকে। আর কোনওমতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য পুলিশের কর্তারা বলেন ঠিক আছে বিএলআরও-কে আসতে দিন।
পুলিশের ও ব্লক সভাপতির এই বাকবিতন্ডার মধ্যে শনিবার সন্ধ্যায় উত্তাল ভরতপুর থানা চত্ত্বর। ঘটনার খবর পেয়ে এলাকার বিধায়ক হুমায়ুন কবির ঘটনাস্থলে পৌছালে থানার সামনে বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকেরা। তাঁরা থানার গেট ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীরা। এই নিয়ে পুলিশ ও ব্লক সভাপতির মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হলে কয়েকশো তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। শেষে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে পৌঁছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালান কান্দির এসডিপিও সাগর রাণা। ।