কলকাতা: মঙ্গলবার কলকাতার সরকারি (Kolkata) হাসপাতালে মৃত তিন শিশুর (Child) মধ্যে দুজনেরই মৃত্যু হয়েছে অ্যাডিনোভাইরাস (Adeno Virus) সংক্রমণের ফলে। গতকালও বেশি রাতে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ছ’মাস বয়সি দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। জ্বর, কাশি,শ্বাসকষ্টের মতো একাধিক উপসর্গ নিইয়ে দুজনেই মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়েছিল। বুধবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুজনেরই রিপোর্টে অ্যাডিনোভাইরাস পজেটিভ এসেছে।
এদিকে বুধবার স্বাস্থ্য অধিকর্তা এবং স্বাস্থ্যসচিব দীর্ঘ বৈঠক করেন বি সি রায় শুইশু হাসপাতালের অধ্যক্ষের সঙ্গে। মূলত হাসপাতালের পরিকাঠামো এবং আইসিইউ নিয়েই আলোচনা হয়। অ্যাডিনো ভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তাও পর্যালোচনা করেন দুই স্বাস্থ্যকর্তা।
আরও পড়ুন: Dhupguri Incident: ধূপগুড়ি সুপার মার্কেটে ভয়াবহ আগুন
স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী পরে দাবি করেন, বি সি রায় হাসপাতালের উপর মানুষের আস্থা রয়েছে। কোনও হাসপাতালেই শিশুদের চিকিৎসার খামতি নেই। তিনি জানান, বি সি রায় হাসপাতালের দুটি ক্যাম্পাস মিলিয়ে ৫৫০ শিশুর চিকিৎসা চলছে। তাঁর যুক্তি, শুধু এই রাজ্যেই নয়, অন্যান্য রাজ্যেও অ্যাডিনোর সংক্রমণ ঘটছে। অধিকর্তার আরও দাবি, শিশু মৃত্যু খুব বেড়েছে এমন নয়। তিনি বলেন, শিশুদের সুস্থ রাখতে গেলে বাড়ির লোকজনদের সচেতন হতে হবে। স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকাতেও তারব উল্লেখ রয়েছে।
অধিকর্তা জানান, বিভিন্ন জেলাতেও এসএনসিইউ বেড চালু করা হয়েছে। ২০১৮ সালেও অ্যাডিনোভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছিল। অ্যাডিনোর পাশাপাশি অন্যান্য সংক্রমণ নিয়েও শিশুরা হাসপাতালে আসছে।
কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলার সরকারি হাসপাতালে যখন পরিকাঠামোজনিত সংকটের অভিযোগ উঠেছে, যখন এক বেডে তিনটি শিশুকেও থাকতে হচ্ছে, তখন স্বাস্থ্য অধিকর্তার দাবি, স্বাস্থ্য পরিষেবায় কোনও ঢিলেমি নেই। বি সি রায় হাসপাতালের এমএসভিপি সন্দীপ সামন্ত জানান, হাসপাতালের আইসিইউতে শিশু রোগীদের চাপ কিছুটা কমেছে। শুধু রেফার করলেই শিশুরা আসছে এমন নয়, অনেকে নিজের থেকেই বাচ্চাদের এই হাসপাতালে নিয়ে আসছেন আস্থা রয়েছে বলেই।