জলপাইগুড়ি: জেলায় জেলায় পঞ্চায়েত বোর্ড (Panchayat Board) গঠনের পালা শুরু হয়ে গিয়েছে। এরই মধ্যে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বৈঠক চলাকালীন হাতাহাতিতে জড়ালেন তৃণমূল (TMC) নেতা কর্মীরা। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ধূপগুড়ি (Dhupguri) শহরের নেতাজি পাড়ার একটি বেসরকারি ভবনের সামনে।
বুধবার মোট চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাচন করেছে তৃণমূল। বৃহস্পতিবার আরও চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন হবে। সেই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ওই বেসরকারি ভবনে তৃণমূলের একটি জরুরি বৈঠক চলছিল। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, ধূপগুড়ি গ্রামীণ ব্লক তৃণমূল সভাপতি দীপু রায়, টাউন ব্লক তৃণমূল সভাপতি ইভান দাস, ব্লক যুব সভাপতি ধরণী রায় সহ অনেক নেতা। সেই বৈঠক চলাকালীনই ভবনের বাইরে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূলের দুই পক্ষ। অভিযোগ, ধূপগুড়ি ব্লকের মাগুরমারি ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা সুভাষ রায় এবং তাঁর ছেলেকে মারধর করে দলেরই অন্য গোষ্ঠীর লোকজন। পরবর্তীতে সুভাষ রায়ের অনুগামীরা লোহার রড হাতে নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়ে। বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে দুই পক্ষকে সরিয়ে দেয়। ঘটনায় আহত হয় দুজন।
আরও পড়ুন:পূর্ব বর্ধমানের জয়ীদের সুন্দরবনের হোটেলে আটকে মারধর
তৃণমূল নেতা সুভাষ রায় বলেন, বনশ্রী রায়কে মাগুরমারি ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান করা হয়েছে। তাপসী রায় প্রধান হতে পারেননি, সেই কারণেই আমাকে এবং আমার ছেলেকে মারধর করল তাপসী রায়ের লোকজন। যদিও তৃণমূলের ব্লক সভাপতি দীপু রায়ের দাবি, আমি মিটিংয়ে ব্যস্ত ছিলাম, তাই বাইরে কী হয়েছে তা জানা নেই। দলের তরফে যেই নাম পাঠানো হয়েছে, তাঁকেই প্রধান করা হয়েছে।
অন্যদিকে তৃণমূলের টাউন ব্লক সভাপতি ইভান দাসের দাবি, আমাদের দল অনেক বড়। তাই কিছু কিছু সময় একটু মতানৈক্য হয়। বিষয়টি হাতাহাতির পর্যায়ে যায়নি ছোট্ট ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। বিষয়টি বসে মিটিয়ে নেওয়া হবে।