কয়লা পাচার কাণ্ডে ফের ইডির তলব আইপিএস অফিসার জ্ঞানবন্ত সিংকে। তাঁকে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর তলব করা হয়েছে। ডাকা হয়েছে আর এক আইপিএস অফিসার আকাশ মাঘারিয়াকেও। তাঁকে দিল্লিতে তলব করা হয়েছে ২৬ সেপ্টেম্বর।
আগেই রাজ্যে কর্মরত আট আইপিএস অফিসারকে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ হাজিরা দিয়ছেন। আবার জ্ঞনবন্তের মতো কেউ কেউ হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন। গত ১৩ সেপ্টেম্বর বিজেপির নবান্ন অভিযানের দিন কলকাতার পুলিশ ট্রেনিং স্কুলের সামনে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে সাঁতরাগাছিতে যেতে দেয়নি পুলিশ। ওইদিন ঘটনাস্থলে ছিলেন জ্ঞানবন্ত এবং আকাশ। অভিযোগ, তখন শুভেন্দু আইপিএস অফিসার আকাশ মাঘারিয়াকে হুমকি দেন, দেখা হবে সেন্ট্রাল এজেন্সির ঘরে। তৃণমূলের অভিযোগ, সেই হুমকিই সত্যি হল।
ইডি যখন আইপিএস অফিসারদের তলব করে, তখনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছিলেন, কত বড় সাহস। আমার আইপিএস অফিসারদের ডেকে পাঠাচ্ছে। সোমবারই সিবিআই, ইডির মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির অতিসক্রিয়তার বিরুদ্ধে বিধানসভায় শাসকদল বিধানসভার কার্যবিবরণীর ১৬৯ ধারায় একটি প্রস্তাব আনে। তা সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে পাশও হয়ে যায়। বিতর্কে অংশ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ইডি, সিবিআই এসব করছে, আমার বিশ্বাস, প্রধানমন্ত্রী কিছু জানেন না। কেন্দ্রীয় সরকার এবং লোকাল বিজেপি এসব করছে। তিনি এসবের জন্য দায়ী করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে।
যে আট আইপিএস অফিসারকে ইডি গরু এবং কয়লা পাচার কাণ্ডে ডেকে পাঠিয়েছে, তাঁরা বিভিন্ন সময়ে রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় পুলিশ সুপারের দায়িত্বে ছিলেন। ওই সব সময়েই কয়লা এবং গরু পাচারের রমরমা ছিল। এখনও পর্যন্ত কয়লা-কাণ্ডে যারা ধরা পড়েছে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে অনেক পুলিশ অফিসারের নাম পেয়েছে ইডি, পাওয়া গিয়েছে বহু প্রভাবশালীর নামও। সিবিআই এবং ইডি তাঁদের নাগাল পেতে চাইছে।